উত্তর ২৪ পরগনা: দলের পুরনো নেতাদের আর বিধায়ক-সাংসদ না হয়ে সংগঠনের কাজই সামলানো উচিত। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এমন মন্তব্যের পর জল্পনা বাড়ে রাজনৈতিক মহলে। প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব কি প্রকট হচ্ছে? সেই জল্পনার মাঝেই আরও একবার দলকে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন ত-তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার কর্মিসভায় গিয়ে মমতা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘সিনিয়রদের মর্যাদা দিতে হবে।’ ছাত্র-যুবদের দলে আরও বেশি সক্রিয় করার কথা বললেও পুরনো নেতাদের অভিজ্ঞতাকে সম্মান দিতে বললেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের মুখে দলের মধ্যে যাতে কোনও ভেদ না থাকে, সেটাই আরও একবার নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ছাত্র-যুবদের গুরুত্ব দিয়ে দলে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সিনিয়রদের যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।” সিনিয়রদের মর্যাদা দেওয়ার কথাটায় জোর দিতে পরপর দুবার বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “আমি বারবার বলছি। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, আর নতুন চাল আগে বাড়ে। দুটো চালই আমার দরকার। পুরনোদেরও দরকার, নতুনদেরও দরকার, পুরুষ-মহিলা, ভাই-বোন সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।”
দলের অন্দরে কী চলছে সেই খবর যে তাঁর কাছে সবসময় থাকে, সেটাও এদিন কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি পাহারাদার ছিলাম, আছি, থাকব। প্রতিটি এলাকায় কী হচ্ছে না হচ্ছে আমি খবর রাখি। এই জেলার কথা জিজ্ঞেস করুন, সেটাও আমি বলে দেব।”
এর আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকেও নতুন-পুরনো সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা ছিল, বয়স্ক নেতারা সামনে থেকে পরিশ্রম করার ক্ষমতা রাখেন না। রাজনীতি সহ সব ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।