দেগঙ্গা: ফের প্রকাশ্যে রাজ্যে নারী নির্যাতন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ লাগাতার খবরে এসেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। কখনও শিশু, কখনও নাবালিকা, কখনও বা গৃহবধূ! বাদ পড়ছেন না কেউই। এবারের ঘটনা দেগঙ্গার। সেখানে এক মহিলাকে টেনে পাট বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে তুলে দিল পুলিশের হাতে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল নাগাদ মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন বছর আটত্রিশের এক মহিলা। এবার সেই আলো-আঁধারিতেই গৃহবধূকে একা পেয়ে অভিযুক্ত জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে মহিলার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় অভিযুক্তর। জানা যায়, তখনই কোনও ভাবে পালিয়ে যান তিনি। এরপরই গৃহবধূ দৌড়ে গিয়ে খবর দেন গ্রামবাসীদের।
ঘটনার বিবরণ শোনার পরই তাঁরা তাড়া করে অভিযুক্তকে। ওই অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় বেলিয়াঘাটা বাজারে। সেখান থেকে অভিযুক্তকে ধরে এনে চলে গণধোলাই। পুলিশ এসে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে নিয়ে যায় দেগঙ্গা থানায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ও গ্ৰামের মহিলাদের মধ্যে।
নির্যাতিতার দিদি জানায়, ‘ঝোপের মধ্যে কোথায় লুকিয়ে ছিল। আমার দিদি তখন ঘাস নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা ছেলেটিকে এর আগে দেখিনি পাড়ায়। মাঝে মধ্যে দেখা যেত। আজ হঠাৎ ওর হাত ধরে টেনে শুইয়ে দেয় পাট বাগানের মধ্যে। এরপর টানতে-টানতে বাগানের ভিতর নিয়ে চলে যায়। তখন নিজেকে বাঁচাতে দিদি লাঠি হাতে ওকে মারে। মার খেয়ে ছেলেটি ওকে ছেড়ে দেয়। এরপর হঠাৎ কাঁপতে-কাঁপতে ও চলে যায় পাশে যাঁরা কাজ করছিল তাঁদের কাছে। গিয়ে সমস্ত বিষয়টি জানায়। ও খুব ভয় পেয়েছিল। গ্রামবাসীদের গিয়ে জানায় যে ওকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। তারপর সারা বাগান প্রত্যেককে আমরা খুঁজি। কিন্তু খুঁজে-খুঁজে ওকে আমরা পাইনি। পরে বেলেঘাটায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়। তখনই মারধর করে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।’