হালিশহর: কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে থাকতেন ব্যক্তি। কাজের সূত্রে যাতায়াত ছিল। ফলে স্ত্রী বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। অভিযোগ, এলাকারই এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মহিলার। কিন্তু এই সবের মধ্যেই শোয়ার ঘরে মা-কে এই অবস্থায় দেখবে তা হয়ত ভাবেনি সন্তানরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় হালিশহরের ঘটনা। সেখানেই বাড়িতে এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবার করতেন বছর চৌত্রিশের সোমা কুরু। তাঁর স্বামী সুন্দর কুরু রেলওয়ে কর্মী। কাজের সূত্রে তিনি মধ্যপ্রদেশে থাকতেন। জানা গিয়েছে, রাজিব ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যরাও সেই বিষটি স্বীকার করে নিয়েছেন।
সোমার পরিবারের অভিযোগ, রাজিব বরাবরই মারধর করতেন তাঁকে। বুধবার তাঁদের মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে হালিশহর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে, এই ঘটনায় আটক হয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক। তাঁকেও দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
মৃতার মা বলেন, ‘ওর সঙ্গে একটি ছেলের দু’বছরের সম্পর্ক ছিল। নাম রাজিব ভট্টাচার্য । ও আসত মাঝে-মধ্যে এসে মদ খেত, মেয়েকে মারধর করত। এই বিষয়গুলি আমরা পছন্দ করতাম না। গতকাল বাড়ি সংক্রান্ত কাজ করার জন্য আমরা বাইরে গিয়েছিলাম। তখন বাড়িতে এসেছিল ছেলেটি। অনেক মদ খেয়েছে। তারপর আমার মেয়েকে মারধর করে মনে হয় ঝুলিয়ে দিয়েছে। এসে দেখি এই অবস্থা। ওর গোটা হাত-পা নীল হয়ে ছিল।’ মৃতার মা আরও দাবি করে বলেন, ‘ সোমার এক দাদা বাংলাদেশে থাকত। তার সঙ্গে সোমা গল্প করত মাঝে-মধ্যে। এই নিয়ে মেয়েকে সন্দেহ করত। মারত। কারোর সঙ্গে মেয়েকে কথা বলতে দিত না। আমি চাই ওর কঠীন শাস্তি হোক।’