হাবরা: নাবালিকাকে প্রথমে অপহরণ, তারপর ধর্ষণের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার ঘটনা। সেখানেই বছর সতেরোর এক নাবালকের বিরুদ্ধে এমন ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই এলাকার এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করছে তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১ তারিখ নাবালিকাকে অপহরণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ছ’তারিখ হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত নাবালককে মসলন্দপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তর পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার হাবরা থানার পুলিশ ধৃতকে বারাসাত আদালতে পাঠিয়েছে। অপরদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থেকে আরও একটি মর্মান্তিক খবর প্রাকাশ্যে এসেছে।কয়েকদিন আগে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পাশে পড়ে থাকে সুইসাইড নোট। সেই নোট দেখেই তদন্তে নামে পুলিশ। প্রেমিককে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার প্রেমিকা। রুবিয়া সান্যাল নামে এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে ডাকা হয়েছিল সোনারপুর থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ৩০৬ অর্থাৎ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আজই বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা আকাশ চৌধুরী গড়িয়া অ্যান্ড্রুজ কলেজের ইতিহাস অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সহপাঠী রুবিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সহপাঠীর নিত্য প্রয়োজনীয় ও পছন্দের নানান বায়না মেটাত আকাশ। আড়াই বছরের প্রেম প্রত্যাখ্যান করে প্রেমিকা। গত ৩০ মে সোনারপুরের বৈকন্ঠপুরে আত্মঘাতী হয় তৃতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্র। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট।
সম্প্রতি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় রুবিরার। পরিবারের দাবি, আকাশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করে রুবিরা। প্রেমিকাকে এর জন্য দায়ী করে সুইসাইড নোট লিখে যায় আকাশ। ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় প্রেমিকার শাস্তির দাবি জানিয়ে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আকাশের পরিবার।