উত্তর ২৪ পরগনা: প্রথমে ফোন করে খুনের হুমকি। তার তিন ঘণ্টার মধ্যেই শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন করল জামাই। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাসপুর গ্রামে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
শুক্রবার ভরে সন্ধ্যায় শাশুড়িকে বাড়ি বয়ে এসে খুন করে গেল জামাই! জানা গিয়েছে বছর ৩২ এর সুশান্ত প্রামানিক পেশায় গাড়ি চালক। বাড়ি বসিরহাট পৌরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের ধলতিথা জেলেপাড়া এলাকায়। তাঁর
শ্বশুরবাড়ী বাদুড়িয়া থানার খাসপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল ও বচসা চলছিল। আর শুক্রবার তা চরমে ওঠে। একাধিকবার সালিশি সভা হলেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি।
স্ত্রী, বছর বাইশের উমা পাত্র গত ২৫ দিন আগে বাপের বাড়ি খাসপুর গ্রামে চলে আসেন। শুক্রবার দুপুরে ফোন করে হুমকি দেন জামাই। অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হলে ফোন ধরেন শাশুড়ি। তখন তাঁকে খুনের হুমকি দেন গুণধর জামাই। তার পর শুক্রবার বিকালেই শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে যায় সে।
সেখানে জামাই একদিকে অন্যদিকে স্ত্রী ও শাশুড়ি। চরম ঝামেলা, বচসা এমনকি মারধর শুরু হয়। সেই সময় স্ত্রী উমা ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে। আর তখনই শাশুড়ি লক্ষ্মী পাত্রর মাথায় দায়ের কোপ বসিয়ে দেয় জামাই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি জামাই শাশুড়ির মৃতদেহের পাশে বসে থাকে খুন করে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাকে ধরে বাদুড়িয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পারিবারিক বিবাদ নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চলছে ধৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। আরও পড়ুন: দরজায় কড়া নেড়ে ‘হারানো’ স্ত্রী-পুত্রকে দিয়ে গেল ‘দুয়ারে পুলিশ’, অশ্রুসিক্ত প্রতিবন্ধী স্বামী