দরজায় কড়া নেড়ে ‘হারানো’ স্ত্রী-পুত্রকে দিয়ে গেল ‘দুয়ারে পুলিশ’, অশ্রুসিক্ত প্রতিবন্ধী স্বামী

Duare Police: মিরাজুল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। হাঁটা চলার শক্তি নেই তাঁর। প্রতিবন্ধী গাড়ি বা কারো কোলে চেপে তাঁকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। এদিন তো ভাইয়ের কোলে চেপে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পে নিজের দুঃখের কথা জানান পুলিশকে।

দরজায় কড়া নেড়ে 'হারানো' স্ত্রী-পুত্রকে দিয়ে গেল 'দুয়ারে পুলিশ', অশ্রুসিক্ত প্রতিবন্ধী স্বামী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 8:57 PM

দেগঙ্গা: দুয়ারে পুলিশে (Duare Police) অভিযোগ জানিয়ে ২ বছরের ছেলে সহ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন এক প্রতিবন্ধী যুবক। পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দেগঙ্গা আমুলিয়ার বাসিন্দারা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Bannerjee) নির্দেশে বারাসাত পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় সংযোগ নামে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, পুলিশ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ক্যাম্প করে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনবে এবং তার সমাধান করবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নিবিড় করতে এবং সমাজে অপরাধমূলক ঘটনা কমাতেই এই উদ্যোগ। আর তাতেই পুলিশের মানবিক মুখ দেখল আমুলিয়া।

শুক্রবার দেগঙ্গা এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া ও আইসি অজয় কুমার সিংহ আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্প শিবিরে হাজির হন। প্রায় ৩০ টির উপরে অভিযোগ জমা পড়ে সেখানে। সেই ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গাছিয়ার বাসিন্দা মিরাজুল মণ্ডল। মিরাজুল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। হাঁটা চলার শক্তি নেই তাঁর। প্রতিবন্ধী গাড়ি বা কারো কোলে চেপে তাঁকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। এদিন তো ভাইয়ের কোলে চেপে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পে নিজের দুঃখের কথা জানান পুলিশকে।

দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পে হারানো স্ত্রী-পুত্রের সন্ধানের আবেদন করতে এসে কার্যত কেঁদে ফেলেন তিনি। জানান, অভাবের সংসারে অশান্তি হত। সে কারণেই তাঁর ২ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তার পর মাসের পর মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের কোনও খোঁজ পাননি।

অভিযোগ পেয়ে যুবককে আশ্বস্ত করে পুলিশ। দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া আইসি অজয় কুমার সিংহ মিরাজুলের শ্বশুরবাড়ি আমুলিয়ার চাঁদপুরে খবর পাঠান। পুলিশের আন্দাজ মিলে যায়। পুলিশের খবর পেয়ে স্ত্রী বিলকিস বিবিকে নিয়ে আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পে হাজির হন মিজারুলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। একে অন্যের অভিযোগের কথা শোনার পরে দেগঙ্গা এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া ও আইসি অজয় কুমার সিংহ পঞ্চায়েত আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাঁদের সাংসারিক জীবনে অশান্তি মিটিয়ে হাতে হাত রেখে দু’জনের মুখে হাসি ফোটান।

দীর্ঘদিন বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ থাকার পরে পুলিশের সহযোগিতায় স্ত্রী ও ছেলেকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিরাজুল। আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দেগঙ্গা থানার পুলিস আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানানো হয়। আরও পড়ুন: মুখোমুখি দুই ‘ব্রত’! নেতা-অভিনেতা বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা