AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nimta: ৫ কিলোর বাটখারা দিয়ে থেঁতলে দেন স্ত্রী-মেয়ের মাথা, পরে আত্মঘাতী যুবক

Nimta: দুপুর ৩ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় ১১ বছরের কন্যা তৃষা আচার্যকে উদ্ধার করেন তার দিদিমা। দ্রুত তাকে  সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেই সময়েও মেয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় খাঠের উপর পড়েছিল আর গৌরাঙ্গ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন ফ্যানে।

Nimta: ৫ কিলোর বাটখারা দিয়ে থেঁতলে দেন স্ত্রী-মেয়ের মাথা, পরে আত্মঘাতী যুবক
ঘর থেকে উদ্ধার হয় দেহ Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2025 | 6:41 PM
Share

নিমতা: অর্থনৈতিক সমস্যা, তার জেরে পারিবারিক অশান্তি। স্ত্রী ও মেয়ের মাথায় পাঁচ কিলোর বাটখারা দিয়ে আঘাত। রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকেন তাঁরা। তার মধ্যেই আত্মঘাতী ব্য়বসায়ী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নিমতার প্রতাপগড়ে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

প্রতাপগড়ের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ আচার্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরাঙ্গ একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। ওই প্রাইভেটে টিউশন পড়াতেন। পরিবারের আর্থিক সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। তা নিয়ে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত বলে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই ওই বাড়ি থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেতেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছত, যে প্রতিবেশীরাও মাঝেমধ্যে মধ্যস্থতা করতে যেতেন। শুক্রবার সকালেও বাড়িতে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। তারপর হঠাৎ সব চুপচাপ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গৌরাঙ্গ ভীষণই শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। বরং স্ত্রীর স্বভাব-ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনিই নানা কারণে অশান্তি করতেন পরিবারে।

পুলিশ সূত্র মারফত খবর,  এদিন দুপুর ৩ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় ১১ বছরের কন্যা তৃষা আচার্যকে উদ্ধার করেন তার দিদিমা। দ্রুত তাকে  সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেই সময়েও মেয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় খাঠের উপর পড়েছিল আর গৌরাঙ্গ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন ফ্যানে। ভয়ঙ্কর দৃশ্য।

পুলিশ  গৌরাঙ্গ আচার্যের দেহ উদ্ধার করে এবং স্ত্রী মিলি আচার্যর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে। এই মুহূর্তে স্ত্রী এবং মেয়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র মারফত খবর। কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। প্রতিবেশী ও গৌরাঙ্গের শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।