Accident: ঝড়ের গতিতে আসছিল মারুতি! কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই শেষ ১ প্রাণ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 05, 2021 | 4:46 PM

Nimta: গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে সেটি একটি দোকানে ধাক্কা মারে।

Accident: ঝড়ের গতিতে আসছিল মারুতি! কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই শেষ ১ প্রাণ
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

নিমতা: ফের ‘গতি’ প্রাণ কাড়ল ব্যক্তির। সাত সকালেই এল মৃত্যুর খবর। নিমতার (Nimta) পথ দুর্ঘটনায় আহত হলেন ৩ জন।

ঘটনাস্থান নিমতা এমবি রোডের মাঝেরহাটি। জানা গিয়েছে বেলঘড়িয়ার দিক একটি মারুতি গাড়ি আসছিল। গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে সেটি একটি দোকানে ধাক্কা মারে। পরে ধাক্কা মারে এক ফুল বিক্রেতাকে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজিকর হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, আরও দু’জনকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থানে যায় নিমতা থানার পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বেলঘড়িয়ার দিক থেকে একটি মারুতি আসছিল। গাড়িটি এসে ধাক্কা মারে পরপর কতগুলি দোকানে। পাশেই একজন ফুল বিক্রি করছিল। গাড়িটি উল্টে পড়ে তার উপর। আরও পাঁচজনকে ধাক্কা মারে। প্রত্যেককেই আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কিরণ চন্দ্র রায় । তিনি ঠাকুরনগরের বাসিন্দা। বাকি আহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বপন গোস্বামী(৫৫) তিনি মাঝেরহাটি আশ্রম রোডের বাসিন্দা। আর রয়েছেন গুরুপদ কুন্ডু(৫৫) তিনি নিমতা পার্ক এলাকায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে।ঘাতক গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লখ্য, কিছুদিন আগেই দুর্ঘটনায় হুগলি থেকে একটি মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ঝড়ের গতিতে চলছিল গাড়ি। যার জেরে খোয়াতে হল প্রাণ। মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। রাজারহাট থেকে বর্ধমান (Bardhaman) যাওয়ার পথে সকালবেলাই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলি।

সূত্রের খবর, কলকাতার রাজারহাট থেকে বর্ধমান যাচ্ছিলেন বছর পঁয়ষট্টির কাজল দেব। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মনিকা দেব (৬০), মেয়ে কমলিকা সাধু ও নাতি সিবং সাধু(৪)। বর্ধমান যাওয়ার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর খাসেরভেঁড়ি গ্রামের কাছে এসে আর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি কাজলবাবু। গাড়ি উল্টে গিয়ে পড়ে সোজা নয়ানজুলিতে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি।

ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে গাড়ির কাচ ভেঙে উদ্ধার করে চারজনকে। কিন্তু ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় মনিকা দেব তাঁর মেয়ে কমলিকা সাধু ও ছোট্ট সিবং এর। পরে পুলিশ চারজনকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত দাদু কাজল দেব চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।

২০১৯ সালেই দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১.৫১ লক্ষ মানুষের। এরমধ্যে কেবল ১৪টি রাজ্য থেকেই ১ লক্ষ ২৭ হাজারের বেশি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খব র মিলেছে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের জেরে বছরের অধিকাংশ সময়ই লকডাউন থাকলেও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষের।

আরও পড়ুন: Pfizer Vaccine: ফাইজার টিকা নিলে ৬ মাস নিশ্চিন্ত! তারপর?

 

Next Article