Basirhat Gunshot: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, গুরুতর জখম অবস্থায় রেফার আর জি করে

Aritra Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Jun 14, 2024 | 11:11 PM

TMC: ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সন্ধে ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ। বসিরহাট থানার অন্তর্গত পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলা এলাকায় আলতাফ মালিকে ঘিরে ধরেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তারপর এক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

Basirhat Gunshot: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, গুরুতর জখম অবস্থায় রেফার আর জি করে
বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বসিরহাট: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসার পরই দিকে দিকে অশান্তি-গোলমালের অভিযোগ। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন বসিরহাট। শুক্রবার সন্ধেয় বসিরহাট থানার অন্তগর্ত পিফা বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আলতাফ মালি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জখম গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সন্ধে ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ। বসিরহাট থানার অন্তর্গত পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলা এলাকায় আলতাফ মালিকে ঘিরে ধরেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তারপর এক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল কর্মী। গুলির আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসতেই, দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিজেপি আশ্রিত।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে অন্যতম হাইভোল্টেজ আসন ছিল বসিরহাট। এই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে হারিয়ে বসিরহাট লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতা হাজি নুরুল। শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, পিফা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল ব্যাপক লিড পেয়েছিল। সেই কারণেই এই হামলা বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বসিরহাটের তৃণমূল নেতা শঙ্কর অধিকারীর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের একজন আলতাফ মালিকে এভাবে আটকানো যাবে না। এরকম হাজারটা আলতাফ মালি গোটা ব্লকজুড়ে রয়েছেন। বিজেপির এজেন্ডা সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করা।’

যদিও এই ঘটনার সঙ্গে পদ্ম শিবিরের যোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, ‘তৃণমূলের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনও যোগ নেই। আলতাফবাবুর কোনও ব্যবসায়িক কোন্দল ছিল কি না, বা তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীকোন্দল কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। পুলিশের উচিত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।’

Next Article