উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের পর এবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তিনিও। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে অনুপমের স্ত্রীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ লোকেদের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে ধৃত বাপি পণ্ডিতের লোকজন। ফের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাউন্সিলরের স্ত্রীকে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হল।
পানিহাটি কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। উঠে এসেছে হোগলা বনের প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের তত্ত্বও। তবে এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারে আরও জটিল কোনও রহস্য। খুনে জড়িয়ে থাকতে পারে আরও অনেকেই। তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মনে করছেন, খুনের মূল অভিযুক্ত ও ষড়যন্ত্রকারী গ্রেফতার হলেও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও অনেকেই রয়েছে।
গত শনিবার রাতে পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। খুনের গোটা দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাইকের পিছনে বসে ছিলেন কাউন্সিলর অনুপম। তাঁর ঠিক পিছনেই নীল রঙের শার্ট পরে এক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিল। সামনের দোকানের দোকানিও তখন বাইরে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন।
আচমকাই নীল রঙা শার্ট পরিহিত ব্যক্তি হঠাৎ পকেট থেকে একটা বন্দুক বার করে নির্বিকারে কাউন্সিলরের মাথার পিছনে বন্দুক ঠেকিয়ে ট্রিগার চেপে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুপম দত্তের। নীল রঙের শার্ট পরিহিত সেই ব্যক্তি লুকিয়ে ছিল স্থানীয় হোগলা বনে। সেখান থেকে স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রহস্যের জট খুলতে থাকে। শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় সুজিত ওরফে বাপি পণ্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে।
কেবল রাজনৈতিক কারণ নয়, প্রমোটিং সংক্রান্ত পুরনো বিবাদ-তত্ত্বও এর পিছনে অত্যন্ত কার্যকরী। বাপি পণ্ডিতের লোকজন যারা, এই খুনে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা এখনও অধরা। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা আরও কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পারে, তাই আগেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: ফের শহরে বিধ্বংসী আগুন, নিউ আলিপুরে রঙের কারখানা ভস্মীভূত
আরও পড়ুন: মার্চেও দিঘায় উঠছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, লুটেপুটে নিচ্ছেন খাদ্য রসিকরাও