উত্তর ২৪ পরগনা: রক্ষকই ভক্ষক! বাজেয়াপ্ত সোনা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। তিনজনই বেলঘরিয়া থানার। কেন বাজেয়াপ্ত সোনা থানার মালখানায় বা আদালতে জমা পড়ল না, যার কাছ থেকে সোনা পাওয়া গেল, তাঁকেই বা কেন গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রেই জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু দিন আগে বনগাঁর এক ব্যক্তিকে সোনা-সমেত আটক করে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। তাঁকে কামারহাটি এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩০০ গ্রাম সোনা। এরপর সেই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে দেখা যায়, ওই সোনা আদতে জমাই হয়নি আদালতে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বনগাঁর ওই ব্যক্তি। তিনি তখন ফের উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের দ্বারস্থ হন। তখন বিষয়টির তদন্তে নির্দেশ দেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বেলঘড়িয়া থানার তিন পুলিশ আধিকারিক। ওসি গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায়,কনস্টেবল মিলন ঘোষ ও সাব ইন্সপেক্টর শেখ মাঞ্জা।
এবার প্রশ্ন, কেন অভিযুক্তকে আদালতে পাঠালেন না? অভিযোগ, সোনা নিজেদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা করে ফেললেন পুলিশ কর্তা। তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে জেরা করা শুরু হয়েছে।
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। পুলিশের বক্তব্য, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা এই প্রশ্নের এখনই কোনও উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টা আগেই বগটুই পৌঁছেছিল নবদম্পতি, চেনাই গেল না সাজিদ-মর্জিনার ‘লাশ’