শ্যামনগর: সকাল-সকাল রেল লাইনের ধারে পড়ে যুবতির মৃতদেহ। তাঁর কানে গোঁজা হেডফোন, হাতে মোবাইল। এই অবস্থায় দেখা মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর চাউর হয়ে যায় মেয়েটির প্রেমিকের কাছেও। সঙ্গে-সঙ্গে ওই যুবক এসে জানায় পরিবারকে। এদিকে, মৃতের পরিবারের দাবি মেয়েটির প্রেমিকই খুন করেছে তাঁকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগর গুড়দহ মাতৃপল্লীর ঘটনা। মৃতার নাম রিয়া মুখার্জী (২৬)।নৈহাটি থানার জিআরপি শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ২৫ ও ২৬ নম্বর রেলগেটের পাশ থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটির মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মেয়েটির কানে হেডফোন গোঁজা ছিল, হাতে ছিল মোবাইল। রিয়ার প্রেমিকের কাছে যখন খবর যায় সেই সময়ই সে গিয়ে মেয়েটির বাড়িতে জানায়। এরপর থেকেই মৃতার পরিবারের সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হলে মোবাইল ফোন ছিটকে অন্যত্র পড়ত। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন মৃতার হাতেই ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাতৃপল্লীর বাসিন্দা রিয়ার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল গুড়দহ শালবাগান এলাকার বাসিন্দা অসীম হাওলদার ওরফে বুটুর। অভিযোগ, বুটুর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও রিয়ার সঙ্গে মেলামেশা করত। মৃতার মা ও দিদির অভিযোগ, বোনকে মেরে রেললাইনে ফেলে দিয়েছে বুটু। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। রাতেই জগদ্দল থানা ও নৈহাটি জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জগদ্দল থানার পুলিশ মৃতার প্রেমিক অসীম ওরফে বুটুকে গ্রেফতার করেছে।
মৃতার দিদি জানান, “বিকেল নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। সাড়ে আটটা বেজে যাওয়ার পরও বোন বাড়িতে ফেরেনি। আমি অনেকবার ফোন করি। এরপর একটি ছেলে এসে জানায় যে আমার বোনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আমাদের সন্দেহ যে এই ছেলেটি খুন করেছে ওকে।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ড: কথা বললেই ফ্লোরে বকা দেবে, বললেন জুন মালিয়া