পানিহাটি টিকা কেলেঙ্কারি: তড়িঘড়ি কেন ছাড়া হল অভিযুক্ত চিকিত্সককে? তবে কি রয়েছে পুর-যোগ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 15, 2021 | 11:22 AM

Panihati Vaccine Case: প্রশ্ন উঠছে আরও একটি বিষয়ে। এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরও কেন পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দিল?

পানিহাটি টিকা কেলেঙ্কারি: তড়িঘড়ি কেন ছাড়া হল অভিযুক্ত চিকিত্সককে? তবে কি রয়েছে পুর-যোগ?
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটিতে টিকা কেলেঙ্কারিতে (Panihati Vaccine Case) জড়িত সন্দেহে আটক চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্রকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। শনিবারই বিষয়টির পর্দা ফাঁসের পর তাঁকে আটক করা হয়। কিন্তু রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। যেখানে পানিহাটি ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন পুরসভার আংশিক সময়ের মেডিক্যাল অফিসার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন, বিপ্লব রুদ্র নামে যে চিকিত্সককে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি ওই অভিযুক্ত চিকিত্সক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন চিকিত্সককে ছেড়ে দেওয়া হল?

প্রশ্ন উঠছে, এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরও কেন পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দিল? কেন অভিযোগকারী ও পুরকর্মীদের বক্তব্য শুনল না পুলিশ? তবে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে? পানিহাটিকাণ্ডে একাধিক প্রশ্নের এখনও কোনও উত্তর নেই।

মেডিক্যাল অফিসার টিকা সরাতে পারেন কিনা, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, কসবার দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর শনিবার টিকা কেলেঙ্কারির হদিশ মেলে পানিহাটিতে। ৩০০টাকায় ভ্যাকসিন, তাও আবার পুরসভার স্ট্যাম্প দেওয়া অরজিন্যাল প্যাডে। টাকার বদলে লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকা-ঠিক এই টোপ দিয়েই সোদপুরের ধানকলে নিয়ে আসা হয়েছিল প্রদীপ মজুমদারকে। সঙ্গে টিকা নিতে আসেন অমিত বিশ্বাস ও কল্যাণী বিশ্বাস।

টিকাকরণ পর্যন্ত কারোর কোনও সন্দেহ হয়নি। গণ্ডগোল হয় সার্টিফিকেট হাতে আসতেই। প্রদীপ বলেন, “যেটা দেওয়া হয়, সেটা আসলে মিউনিসিপ্যালিটির কাগজ। টাকা দেওয়ার কোনও রসিদও নেই।” বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করে TV9 বাংলা।

খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্ত চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্রকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়। কিন্তু তাঁকে পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল? তিনি এই টিকা কোথা থেকে পেলেন? তিনি পুর চিকিত্সক, তাহলে কি কোনওভাবে সেখান থেকেই টিকা সরিয়েছিলেন?

সম্প্রতি এলাকার বৃদ্ধাশ্রমে টিকা দেওয়া হয়। কোভিশিল্ডের ভাওয়াল থেকে ১১-১২ জনকে টিকা দেওয়া যেতে পারে। খাতায় কলমে, যেখানে বলা রয়েছে একটি ভাওয়াল থেকে ১০ জন টিকা পেতে পারেন। তাহলে কি পুরসভার বাড়তি ভাওয়াল পুর-চিকিত্সক সরিয়ে ফেলেছিলেন? সে জন্যই কি ১৭ জুন টিকা দেওয়ার তিন দিন পরে পুরসভার নথিতে নিজের নাম নথিভুক্ত হতে দেখলেন অভিযোগকারী? গোটা বিষয়টি এখন তদন্ত সাপেক্ষ। আরও পড়ুন: ত্রিপুরা কাণ্ডের বদলা নিতেই কি সজল ঘোষের গ্রেফতারি? কী ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ

Next Article