বসিরহাট: শনিবার সকালেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির দাপুটে শাসক নেতা উত্তম সর্দার। বিকালেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এরইমধ্যে পুলিশের জালে এক বিজেপি নেতাও। গ্রেফতার বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সিং। বর্তমানে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের কনভেনারের দায়িত্বে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। দীর্ঘ সময় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
অভিযোগ, সন্দেশখালিতে বেলাগাম হিংসার পিছনে হাত রয়েছে এই বিকাশের। মূলত, গ্রামবাসীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, বসিরহাটে বিজেপির নানা লড়াই-আন্দোলনে বরাবরই সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে বিকাশকে। শোনা যায় কলকাতার নেতাদের সঙ্গেও রয়েছে সুসম্পর্ক। সেই বিকাশকেই পুলিশ গ্রেফতার করায় তা নিয়ে বাড়ছে চাপানউতর। চাপে পদ্ম শিবিরও, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থেকে রাজনীতি করার কারণে সন্দেশখালিকে হাতের তালুর মতো চেনেন এই বিকাশ। আদিবাসীদের সঙ্গেও তাঁর বেশ নিবিড় সম্পর্ক বলে শোনা য়ায়। বসিরহাট সাংগঠনিক সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পর সেই দায়িত্বে এখন তাপস ঘোষ।
এদিকে বিকাশ সিংয়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ হয়েছে সন্দেশখালি থানায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই একদিন আগে তাঁকে থানায় তুলে আনে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর করা হয় গ্রেফতার। সূত্রের খবর, যখন বিকাশ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে শোরগোলও পড়ে গিয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে।