Barasat Police: অভিষেককে নিয়ে মন্তব্য করা সাব ইন্সপেক্টর সাসপেন্ড, পুলিশ বলছে, ‘কর্মক্ষেত্রে গাফিলতিতে পদক্ষেপ’

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 05, 2022 | 8:42 PM

Barasat Police: বিজেপি নেতা নিজেও প্রশ্ন তোলেন, কেন দেশের এত বড় বড় হাসপাতাল থাকতে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হল অভিষেককে?

Barasat Police: অভিষেককে নিয়ে মন্তব্য করা সাব ইন্সপেক্টর সাসপেন্ড, পুলিশ বলছে, কর্মক্ষেত্রে গাফিলতিতে পদক্ষেপ

Follow Us

বারাসত: অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) চশমার দাম কত, কোথা থেকে চোখের চিকিৎসা করে এলেন তিনি? এমনই প্রশ্ন তুলেছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার ডিআইবি-র ইন্সপেক্টর আশিস বটব‍্যাল। ফেসবুকে সেই বিতর্কিত পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা পরই সেই ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ আসায় বেড়েছে জল্পনা। কাজে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সৎ সাহস থাকলে উত্তর দিতে পারতেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাজনৈতিক কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তবে, তৃণমূলের দাবি, ঠিক কী হয়েছে তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে।

সম্প্রতি ফেসবুকে অভিষেকের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন ওই ইন্সপেক্টর। সেখানে অভিষেক সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। কর্মক্ষেত্রে গাফিলতির কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বারাসত জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্রের দাবি, পুলিশ অফিসারও একজন সরকারি কর্মী। তিনি ডিএ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাই তিনি এক সাংসদের চশমার দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেই পারেন। বিজেপি নেতার কথায়, ‘সৎ সাহস থাকলে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারতেন অভিষেক।’ একই সঙ্গে বিজেপি নেতা নিজেও প্রশ্ন তোলেন, কেন দেশের এত বড় বড় হাসপাতাল থাকতে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হল অভিষেককে? তাঁর প্রশ্ন, দেশে এইমসের মতো হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে চিকিৎসা করান খোদ রাষ্ট্রপতিও, তাহলে অভিষেক কেন এত টাকা খরচ করে দেশের বাইরে চিকিৎসা করাবেন? একজন সরকারি কর্মী হিসেবে পুলিশ এই প্রশ্ন তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার বলে আর কিছু নেই, সবটারই তৃণমূলিকরণ হয়েছে।

এদিকে, আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কেউই সাধারণত এমন কোনও পদক্ষেপ করে না। তবে এ ক্ষেত্রে সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন অফিসার। দিনের পর দিন জনপ্রতিনিধির সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পুলিশ সুপার সাসপেন্ড করেছেন ওই পুলিশ অফিসারকে, তদন্তও চলছে। তদন্তে সবটা প্রমাণিত হবে বলে মনে করেন তিনি। অফিসার মদ্যপ অবস্থায় এমন কাজ করেছেন বলে শুনেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার। সাসপেন্ড হওয়া ইন্সপেক্টর আশিস বটব্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, তা সম্ভব হয়নি।

Next Article