উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েতের (Panchayet Election) ভোট প্রচার পুরোদমেই শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনওরকম ‘সুপারিশ’কেই আমল দেওয়া হবে না বলে সোমবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এদিন দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই যে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, আমি সেটাই মানুষকে জানিয়ে দিলাম। দল কোনও অবস্থাতেই কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ব্যবহার করতে দেবে না।” তাঁর বার্তা, যাঁরা অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা যেন নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান। পার্থ ভৌমিক বলেন, “যাঁদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই, মানুষের সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছেন, কারা কারা মানুষের সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছেন তাঁদের থেকে ভাল কেউ জানে না। তাঁদের দল যদি সরিয়ে দেয়, অসম্মানিত হবেন। তাঁর থেকে ভাল সম্মান বাঁচাতে নিজেদেরই সরে পড়া।”
এর আগে এই একই সুর শোনা যায় দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের গলাতেও। গত মাসেই এক দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, “সময় এসেছে যে আমরা দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই করি। এটাও বলার সময় এসেছে, যাঁরা এ দলে এসেছিলেন বা আছেন আর্থিক সুবিধার জন্য, তাঁদের বোধহয় দল থেকে একটু সরে যাওয়ার সময় এসেছে। তার কারণ, আমাদের অসংখ্য কর্মী। ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎভাবে কাজ করেন। আমরা চাই না কিছু লোক তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য দলের ভাবমূর্তি মলিন করে দিন।”
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দল এবার যথেষ্ট সতর্ক থাকবে বলেই সোমবার জানান পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, “দলের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ চলছে। একটা কথাই বলতে পারি, কোনও কাকা, দাদা, নেতা ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না। বুথের মানুষ যে রায় দেবেন তা শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে।” কিন্তু তাতে যদি ক্ষোভ বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে? কুছ পরোয়া নেহি ভঙ্গিতে পার্থর মন্তব্য, “কেউ যদি বিক্ষুব্ধ হয় তাতে দলেরই সুবিধা হবে। আমরা ২৪-এর আগেই কারা প্রকৃত তৃণমূল তা চিহ্নিত করতে পারব।”