শ্যামনগর : ফুল বদলেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। চারদিন আগে পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরেছেন। তার দলবদলের পরই জল্পনা শুরু হয়, অর্জুন-গড়ে আর কে কে ফুল বদলাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে আজ দলীয় বৈঠকের জন্য শ্যামনগরে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর এই বৈঠকের আগে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। সন্দীপকে ‘অর্জুনের এজেন্ট’ বলে আক্রমণ করে পদ থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে পোস্টারে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে ওই পোস্টার দিয়েছে। যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত রবিবার কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে ফুলবদল করেন অর্জুন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল ছেড়ে তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁর অনুগামীদের অনেকে পদ্ম শিবিরে ভিড় করেন। এখন অর্জুন ঘাসফুলে ফিরে আসায় ব্যারাকপুরে বিজেপিতে ভাঙন ধরবে কি না, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
এই অবস্থায় আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে শ্যামনগরে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র। তার আগেই সকালবেলায় দেখা গেল শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছে। সেই পোস্টারে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্জুনের এজেন্ট বলা হয়েছে। তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে।
পোস্টারগুলি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে পোস্টার লাগিয়েছে। সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। যাঁকে ঘিরে এই চাপানউতোর সেই সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি চার মাস আগে সভাপতি হয়েছি। তার আগে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছি। অর্জুন সিং এলাকার সাংসদ। একইসঙ্গে এই এলাকায় তিনি দলের পর্যবেক্ষকও ছিলেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই তাঁর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেছি।” বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানেন। তৃণমূল ভয় পেয়ে এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিল তৃণমূল। ভাটপাড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদার বলেন, “তৃণমূল মানুষের মণিকোঠায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এইসব সংস্কৃতি নেই। আমাদের সময় নেই। বিজেপির কোন্দলের জেরে এইসব পোস্টার।”