QR CODE-স্ক্যান করেই হুঁশ করে ‘পে’ করে দিচ্ছেন তো? শুধু তিনটে নিয়ম মানলেই আপনি জিতে গেলেন… জানেন কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 15, 2025 | 10:17 AM

QR CODE: দোকান থেকে কোনও কিছু করে ক্রেতা QR কোড স্ক্যান করে টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু সেই টাকা পৌঁছাচ্ছে না দোকানদারের অ্য়াকাউন্টে। যেমন ধরুন, অনলাইন লেনদেনের জন্য বিরিয়ানির দোকানে QR কোড লাগিয়েছেন ব্যবসায়ী আবেদ আলি।

QR CODE-স্ক্যান করেই হুঁশ করে পে করে দিচ্ছেন তো? শুধু তিনটে নিয়ম মানলেই আপনি জিতে গেলেন... জানেন কী?
QR Code নয়া পন্থায় প্রতারণা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা:  সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা সাবধান হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু সবসময় সাবধান হলেও, জালিয়াতরা নানাভাবে জাল ছড়াচ্ছে। যার টাটকা উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। সেখানকার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক কলকাতার সাইবার বিশেষজ্ঞরাও।

কখনও ফুড ডেলিভারি বা কোনও দামী জিনিসের ডেলিভারি নাম করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে অন লাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণায় শিরোনামে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, মাত্র ৮ মাসে ২৭ কোটি টাকা সাইবার প্রতারণায় কপালে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। বাধ্য হয়ে প্রতিটি থানায় থানায় সাইবার সেল তৈরি করছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার।

দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার আর্থিক প্রতারণা। সাড়া ভারতবর্ষের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে ও বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত সাইবার আর্থিক প্রতারণা। গত ৮ মাসে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন মানুষের অনলাইন একাউন্ট থেকে মোট ২৭ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সাইবার গ্যাং।যা হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা।

ঠিক কী রকম প্রতারণা?

দোকান থেকে কোনও কিছু করে ক্রেতা QR কোড স্ক্যান করে টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু সেই টাকা পৌঁছাচ্ছে না দোকানদারের অ্য়াকাউন্টে। যেমন ধরুন, অনলাইন লেনদেনের জন্য বিরিয়ানির দোকানে QR কোড লাগিয়েছেন ব্যবসায়ী আবেদ আলি। খদ্দেররা অনলাইনে টাকাও মিটিয়েছেন। ক্রেতাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দোকানদারের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। কেবল আবেদ আলিই নয়, একই সমস্যায় জর্জরিত মধ্যপ্রদেশের খাজুরহের একাধিক ব্যবসায়ী। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা কারোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই কোনও সমস্যা নেই। তাহলে হলটা কী?

ভাল ভাবে খোঁজ করে জানতে পারলেই চক্ষু চড়কগাছ ব্যবসায়ীদের। কারণ দোকানে রাখা QR CODEই যে বদলে গিয়েছে। তাই ক্রেতা টাকা পাঠাচ্ছেন, সেই টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। খাজুরহে প্রতারকদের নয়া চক্র সক্রিয় হয়েছে।

তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে এসেছে একটা চাঞ্চল্যকর ফুটেজ। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে দোকানের সামনে কিছু একটা করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এভাবেই রাতারাতি পাল্টে দেওয়া হচ্ছে QR CODE। অনেক দোকানের গায়ে QR কোড লাগানো থাকে, তার ওপর দিয়ে QR CODE লাগিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন QR CODE ব্যবহারে ক্রেতা বিক্রেতাকে সতর্ক হতে হবে আরও। স্ক্যান করলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম ওঠে। সেই নাম যাচাই করে তবেই পেমেন্ট করা উচিত। টাকা ঢুকেছে কিনা, সেটাও দেখা উচিত বিক্রেতার।

Next Article