উত্তর ২৪ পরগনা: আচমকা দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়ার মেট্রোলাইনের (Metro) পাশে প্রায় ২০০ মিটার মাটিতে বসে গিয়ে ধস। শুক্রবার সকাল থেকেই ধীর গতিতে চলছে ট্রেন। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই রেল দফতরের কর্মীরা। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর জন্য় পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। বৃষ্টির কারণে এই ধস নেমেছে বলেই অনুমান রেল দফতরের।
শুক্রবার অফিসটাইমে এ হেন বিপত্তিতে বেজায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে মাটি বসে যাওয়ায় ধসের মতো পরিস্থিতি। মাটি বসে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে বেলঘরিয়া সিসিআর ব্রিজের। ধস নেমেছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ব্রিজের পিলারে। ফলে মেট্রো চলছে ধীরে। যার জেরে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরাই। অন্যদিকে, যদিও, শিয়ালদহ মেইন লাইন শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।
রেল দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই বোল্ডার ফেলে মেরামতির কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেল ইঞ্জিনিয়ররাও। লাল ফিতে দিয়ে বেঁধে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে এলাকাটিকে। প্রায় ১০০ জন কর্মী মেরামতির কাজে নেমেছেন। বালির বস্তা ফেলে ধস মেরামতের চেষ্টা চলছে। এই ধসের জেরে রেল ব্রিজের কোনও ক্ষতি হবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই এলাকার মাটি আলগা হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে তা পুরোপুরি ধসে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোনও বড় বিপত্তিও হতে পারত। যদিও, এ নিয়ে এখনও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে যদিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বঙ্গে করোনা-বিধি নিষেধ এখনও জারি। লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। স্টাফ-স্পেশাল ও মেট্রো (Metro) রেলেই ভরসা নিত্যযাত্রীদের। করোনা মোকাবিলায় আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্যে জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে। পরে অবশ্য, করোনা বিধিতে বেশ কিছু ছাড়পত্র দেওয়া হয়। মেট্রো পরিষেবাও প্রথমে কেবল জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য চালু ছিল। পরে আমজনতার সুবিধার কথা ভেবে ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় রেক সংখ্যা। আপ-ডাউন মিলিয়ে বর্তমানে ২২০টির বেশি মেট্রো চলছে। রবিবার ছাড়া রোজই ৫ মিনিট অন্তর মিলছে মেট্রো। তবে এখনও মেট্রোতে টোকেন চালু হয়নি। স্মার্ট কার্ড থাকলেই মিলছে মেট্রো পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও পড়ুন: ভাণ্ডার পূর্তি ‘দালালে’, ‘লক্ষ্মী’ এল না ঘরে! শুধু ‘কাটমানির’ যাওয়া-আসা…