উত্তর ২৪ পরগনা: ভুয়ো চাকরির তালিকায় এবার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ছেলের নাম। বারাসত এক নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইশা সর্দারের ছেলে নাজিমোল্লার নামও উঠে এসেছে ভুয়ো চাকরির তালিকায়। ভুয়ো তালিকায় ৮ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। ওএমআর শিট অনুযায়ী তিনি ২৫ পেয়েছেন। অথচ চাকরির জন্য দেখানো হয়েছে ৫৩। কীভাবে বাড়ল নম্বর? প্রশ্ন উঠছে।
ভুয়ো চাকরির তালিকায় নাম রয়েছে ৯৫২ জনের। তার মধ্যে ৮ নম্বরে নাম রয়েছে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ছেলের। নাজিমুল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুলে চাকরি করতেন। তিনি ইতিহাসে স্নাতক। তিনি ইতিহাস বিষয়েই শিক্ষকতা করতেন। চাকরির পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ২৫ নম্বর। কিন্তু চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হয় ৫৩। কীভাবে বাড়ল নম্বর? প্রভাবশালী যোগ রয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বাবা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেই নম্বর বাড়িয়ে চাকরি পেয়েছেন নাজিমোল্লা।
মহম্মদ ইশা সর্দার বারাসতের কোঠরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। বর্তমানে বারাসত ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। TV9 বাংলার তরফে সরাসরি প্রশ্নটা করা হয়েছিল মহম্মদ ইশা সর্দারের কাছেই। তাঁর যুক্তি, “পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরোধী দল সিপিএম বিজেপি কালিমালিপ্ত করার জন্য এরকম করেছে। কয়েকজনের ব্ল্যাঙ্ক শিট পাওয়া গিয়েছে বলে টোটাল প্যানেলটাই বাতিল হবে, বা সবাই সন্দেহযুক্ত, এটা হওয়া উচিত নয়। ওএমআর শিট অনুযায়ী, ৫৩-ই পেয়েছে। মৌখিকে পেয়েছে ২। যদি আমরা কাউকে পয়সা দিই, সুপারিশ করে চাকরি পেতাম, তাহলে ৮ কিংবা ১০ করে দেওয়া হত। সেরকম তো হয়নি। ব্ল্যাঙ্ক খাতা তো জমা দেয়নি। ওএমআর শিট তো ফিল আপ করা। সেখানে তো ব্ল্যাঙ্কের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি কারোর সুপারিশ নিইনি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আমার ছেলের সিট যদি কেউ পূরণ করে দেয়, আমার চাকরি চলে গেলেও, সেই লোকটার যদি সন্ধান পাই, তাঁকে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব।”