সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহান বেপাত্তা। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার গারদের পিছনে। তাই এতদিনে কিছুটা হলেও বুকে সাহস জোগাতে পেরেছেন তিনি। মুখ খুলেছেন। স্বামীকে চোখের সামনে ঝাঁঝরা হতে দেখেছেন। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। প্রাণ বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে রয়েছেন। সেই নিগৃহীতা মুখ খুললেন। শাহজাহানের আরও একটি দিকের কথা উল্লেখ করলেন সন্দেশখালির হাটগাছি অঞ্চলের সেই মহিলা। ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠীতে ঠিক কী নৃশংসতা চলেছিল সন্দেশখালিতে? শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, “জামাইষষ্ঠীর দিন ছিল সেটা। আমাদের ৫৬ নম্বর বুথ। হাটগাছি অঞ্চল। শেখ শাহজাহান আড়াই তিন হাজার লোক নিয়ে আসে। আমাদের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়। চার জন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। বাড়িতে যতজন পুরুষ ছিল, তাদের প্রত্যেককে ডেকে বার করেন। জলকরের মাঝে নিয়ে যায়। আমরা শরীরে আট খানা গুলি করেছিল। আর চোখের মাঝেও গুলি করে। শরীরের সর্বঅঙ্গে তলোয়ার ভোজালির কোপ ছিল। আমার স্বামী প্রদীপ মণ্ডলের ওপর বীভৎস অত্যাচার হয়।” তিনি বেশ কয়েকজনের নামও করেন। তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লারা সহ আরও অনেকে আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। ”
তিনি আরও বড় অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে। এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের। কিন্তু সেই নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব অতি নগন্য দুজনের নাম দিয়ে চার্জশিট জমা দিয়ে দিয়েছে। তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”
তিনি জানান, যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন তাঁর দুই সন্তান অত্যন্ত ছোট। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন হতে দেখেছেন তিনি। সঙ্গে নিজেরও প্রাণসংশয়ের ভয়। ওই অবস্থাতেই শ্বশুরের ভিটেয় ২০২১ সাল পর্যন্ত ছিলেন তিনি। ফিশারি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পর ওই এলাকায় তৃণমূল বিরাট লিডে ক্ষমতায় আসে। অভিযোগ, নির্বাচনের পর তাঁর ফিশারিও লুঠপাট চালায় শাহজাহানের দলবদল। এরপর তিনি সেই বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। দুই সন্তানের ওপর যাতে কোনও নজর না পড়ে, তাই তাঁদের নিয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন তিনি। তিনি শেখ শাহজাহানের ফাঁসিই চান।
কিন্তু কেন খুন হতে হয়েছিল ওই মহিলার স্বামীকে?
আসলে প্রদীপ মণ্ডল বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাটগাছি অঞ্চলের ৫৬ নম্বর বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। সেই কারণেই রাগ। তাই ভোটগণনার ঠিক এক সপ্তাহের পরই বাড়িতে লোক নিয়ে এসে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল প্রদীপকে। এখন তাঁর স্ত্রী শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান।
সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহান বেপাত্তা। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার গারদের পিছনে। তাই এতদিনে কিছুটা হলেও বুকে সাহস জোগাতে পেরেছেন তিনি। মুখ খুলেছেন। স্বামীকে চোখের সামনে ঝাঁঝরা হতে দেখেছেন। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। প্রাণ বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে রয়েছেন। সেই নিগৃহীতা মুখ খুললেন। শাহজাহানের আরও একটি দিকের কথা উল্লেখ করলেন সন্দেশখালির হাটগাছি অঞ্চলের সেই মহিলা। ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠীতে ঠিক কী নৃশংসতা চলেছিল সন্দেশখালিতে? শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, “জামাইষষ্ঠীর দিন ছিল সেটা। আমাদের ৫৬ নম্বর বুথ। হাটগাছি অঞ্চল। শেখ শাহজাহান আড়াই তিন হাজার লোক নিয়ে আসে। আমাদের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়। চার জন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। বাড়িতে যতজন পুরুষ ছিল, তাদের প্রত্যেককে ডেকে বার করেন। জলকরের মাঝে নিয়ে যায়। আমরা শরীরে আট খানা গুলি করেছিল। আর চোখের মাঝেও গুলি করে। শরীরের সর্বঅঙ্গে তলোয়ার ভোজালির কোপ ছিল। আমার স্বামী প্রদীপ মণ্ডলের ওপর বীভৎস অত্যাচার হয়।” তিনি বেশ কয়েকজনের নামও করেন। তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লারা সহ আরও অনেকে আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। ”
তিনি আরও বড় অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে। এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের। কিন্তু সেই নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব অতি নগন্য দুজনের নাম দিয়ে চার্জশিট জমা দিয়ে দিয়েছে। তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”
তিনি জানান, যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন তাঁর দুই সন্তান অত্যন্ত ছোট। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন হতে দেখেছেন তিনি। সঙ্গে নিজেরও প্রাণসংশয়ের ভয়। ওই অবস্থাতেই শ্বশুরের ভিটেয় ২০২১ সাল পর্যন্ত ছিলেন তিনি। ফিশারি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পর ওই এলাকায় তৃণমূল বিরাট লিডে ক্ষমতায় আসে। অভিযোগ, নির্বাচনের পর তাঁর ফিশারিও লুঠপাট চালায় শাহজাহানের দলবদল। এরপর তিনি সেই বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। দুই সন্তানের ওপর যাতে কোনও নজর না পড়ে, তাই তাঁদের নিয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন তিনি। তিনি শেখ শাহজাহানের ফাঁসিই চান।
কিন্তু কেন খুন হতে হয়েছিল ওই মহিলার স্বামীকে?
আসলে প্রদীপ মণ্ডল বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাটগাছি অঞ্চলের ৫৬ নম্বর বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। সেই কারণেই রাগ। তাই ভোটগণনার ঠিক এক সপ্তাহের পরই বাড়িতে লোক নিয়ে এসে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল প্রদীপকে। এখন তাঁর স্ত্রী শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান।