Sandeshkhali: সন্দেশখালির গরিব মানুষগুলোর ৮০ লক্ষ টাকার ‘দুর্নীতি’! শিবুর আরও কেলেঙ্কারি ফাঁস

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 13, 2024 | 4:46 PM

Sandeshkhali: গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, সরকারি প্রকল্পের জন্য তাঁরা কেন টাকা দেবেন। একশো দিনের কাজে বাঁধ নির্মাণে তাঁরা যে কাজ করলেন, তার টাকাই বা কোথায়! গ্রামবাসীদের প্রশ্ন,   "শিবু হাজরা কি তবে গাছের‌ও খেয়েছেন তলার‌ও কুড়িয়েছেন!"

Follow Us

সন্দেশখালি:  নদীবাঁধে একশো দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে এবার নাম জড়িয়ে গেল  সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরার নাম। আশি লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। আর তার ধরন দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হ‌ওয়ার জোগাড়! এলাকার মাছের ভেড়িকে নদী প্লাবন থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারি প্রকল্পে তৈরি হ‌ওয়ার কথা বাঁধ। অভিযোগ সেই বাঁধ নির্মাণের জন্য গরিব মাছচাষিদের কাছ থেকে বিঘা প্রতি চার হাজার টাকা নিয়েছেন শিবু হাজরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুলনা থেকে ভোলাখালি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় এই বাঁধ তৈরির জন্য ৩০০ চাষির কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৮০ লক্ষ‌ টাকা। বছর দুয়েক আগে সেই কাজ করিয়ে জব কার্ডে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি।

গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, সরকারি প্রকল্পের জন্য তাঁরা কেন টাকা দেবেন। একশো দিনের কাজে বাঁধ নির্মাণে তাঁরা যে কাজ করলেন, তার টাকাই বা কোথায়! গ্রামবাসীদের প্রশ্ন,   “শিবু হাজরা কি তবে গাছের‌ও খেয়েছেন তলার‌ও কুড়িয়েছেন!”  কিন্তু গ্রামবাসীরা বাঁধ নির্মাণের জন্য মাটি ফেললেন। আর তাঁদের বলা হয়েছিল, মাটি ফেলার জন্য খরচ দিতে হবে যাঁরা ‘পকেট মাছের ভেড়ি’ করেন, সেই চাষিদের।

TV9 বাংলার সামনেই মুখ খুললেন এমনই এক মাছের ভেড়ির মালিক। তিনি প্রশ্ন তুললেন, এই টাকা তো সরকারের দেওয়ার কথা, তাঁরা কেন নিজেদের পকেট থেকে টাকা দেবেন? শিবু হাজরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, একশো দিনের প্রকল্পের কাজের টাকার অনুমোদন হলে, সেখান থেকে তাঁদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। টাকা দেওয়ার নথিও রয়েছে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে।

তেমনই আরেকটি ভেড়ি চাষির পরিবার মুখ খুললেন TV9 বাংলার ক্যামেরায়। তিনি বললেন, “প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার বাঁধ যখন তৈরি হয়, তখন শিবু হাজরা বলেছিল পকেট ভেড়ির মালিকদের টাকা দিতে হবে। পরে বলেছিল জব কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। ৮০ লক্ষ টাকার মতো তুলে নিয়েছিল।”

কিন্তু কেন টাকা দিলেন তাঁরা? প্রশ্ন করতেই এক মহিলা বলেন, “টাকা না দিলে তো ওই সব নেতাদের হাতে মার খেতে হবে! পেটে গামছা বেঁধে রাখি, তবুও টাকা দিয়ে দিই। না হলেই তো রাতবিরেতে বাড়িতে ঢুকবে ওরা। বাড়িতে হামলা চালায়।”

সন্দেশখালি:  নদীবাঁধে একশো দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে এবার নাম জড়িয়ে গেল  সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবু হাজরার নাম। আশি লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। আর তার ধরন দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হ‌ওয়ার জোগাড়! এলাকার মাছের ভেড়িকে নদী প্লাবন থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারি প্রকল্পে তৈরি হ‌ওয়ার কথা বাঁধ। অভিযোগ সেই বাঁধ নির্মাণের জন্য গরিব মাছচাষিদের কাছ থেকে বিঘা প্রতি চার হাজার টাকা নিয়েছেন শিবু হাজরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুলনা থেকে ভোলাখালি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় এই বাঁধ তৈরির জন্য ৩০০ চাষির কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৮০ লক্ষ‌ টাকা। বছর দুয়েক আগে সেই কাজ করিয়ে জব কার্ডে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি।

গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, সরকারি প্রকল্পের জন্য তাঁরা কেন টাকা দেবেন। একশো দিনের কাজে বাঁধ নির্মাণে তাঁরা যে কাজ করলেন, তার টাকাই বা কোথায়! গ্রামবাসীদের প্রশ্ন,   “শিবু হাজরা কি তবে গাছের‌ও খেয়েছেন তলার‌ও কুড়িয়েছেন!”  কিন্তু গ্রামবাসীরা বাঁধ নির্মাণের জন্য মাটি ফেললেন। আর তাঁদের বলা হয়েছিল, মাটি ফেলার জন্য খরচ দিতে হবে যাঁরা ‘পকেট মাছের ভেড়ি’ করেন, সেই চাষিদের।

TV9 বাংলার সামনেই মুখ খুললেন এমনই এক মাছের ভেড়ির মালিক। তিনি প্রশ্ন তুললেন, এই টাকা তো সরকারের দেওয়ার কথা, তাঁরা কেন নিজেদের পকেট থেকে টাকা দেবেন? শিবু হাজরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, একশো দিনের প্রকল্পের কাজের টাকার অনুমোদন হলে, সেখান থেকে তাঁদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। টাকা দেওয়ার নথিও রয়েছে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে।

তেমনই আরেকটি ভেড়ি চাষির পরিবার মুখ খুললেন TV9 বাংলার ক্যামেরায়। তিনি বললেন, “প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার বাঁধ যখন তৈরি হয়, তখন শিবু হাজরা বলেছিল পকেট ভেড়ির মালিকদের টাকা দিতে হবে। পরে বলেছিল জব কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। ৮০ লক্ষ টাকার মতো তুলে নিয়েছিল।”

কিন্তু কেন টাকা দিলেন তাঁরা? প্রশ্ন করতেই এক মহিলা বলেন, “টাকা না দিলে তো ওই সব নেতাদের হাতে মার খেতে হবে! পেটে গামছা বেঁধে রাখি, তবুও টাকা দিয়ে দিই। না হলেই তো রাতবিরেতে বাড়িতে ঢুকবে ওরা। বাড়িতে হামলা চালায়।”

Next Article