সন্দেশখালি: করা গেল না ড্যামেজ কন্ট্রোল। সন্দেশখালির নাম ঘোষণার পরদিনই ফের বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে উঠল সন্দেশখালি। ফের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের আজও সাফ বক্তব্য, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গ্রেফতার করতে হবে শেখ সিরাজউদ্দিন অর্থাৎ সিরাজ ডাক্তার ও তাঁর অনুগামীদেরও। কারণ তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বেড়মজুরের সঙ্গে ঝুপখালিতে আবারও রাস্তায় জ্বলছে আগুন।
সন্দেশখালি। মাস দুয়েক যা প্রত্যন্ত এই দ্বীপ এলাকা বঙ্গরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই একটি ‘শব্দবন্ধ’ শাসকদলের কাছেও যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। নেপথ্যে ‘শেখ শাহজাহান’। নারী নির্যাতন, জমি দখল, ভেড়ি দখল-সহ একাধিক লুঠ নির্যাতনের অভিযোগে গর্জে উঠেছে সেখানকার নারীসমাজ। বিদ্রোহের আগুন জ্বলে, ওঠে এযাবৎ একের পর এক ভয়ঙ্কর নির্যাতনের অভিযোগ। শাসক থেকে বিরোধী-সকলই নেতৃত্ব এমনকি জাতীয় স্তরের নেতৃত্বও গিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন নির্যাতিতাদের পাশে। কিন্তু যেখানে নারী নির্যাতনের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ, সেই এলাকারই একজন মহিলা সাংসদ নুসরত জাহানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সন্দেশখালির মাটিতে। তাঁর টিকিট না পাওয়াটা রাজনৈতিক মহলের বৃহদাংশের কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর তারই প্রমাণ মিলল তৃণমূলের জনগর্জন কর্মসূচিতে। ব্রিগেড মঞ্চ থেকে যখন একের পর এক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সকলের অনুসন্ধিৎসা ছিল সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে বসিরহাটে কাকে দাঁড় করাবে তৃণমূল? সামনে এল সেই নাম। তিনি হাজির নরুল ইসলামকে।
হাজি নরুল ইসলামের নাম প্রকাশের পরদিনই সোমবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভে জ্বলতে থাকে সন্দেশখালির রাস্তা। বেড়মজুরের ঝুপখালির মহিলারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, সিরাজউদ্দিন ও শেখ শাহজাহানের আরেকভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে দ্রুত। সিরাজের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। দেড় সপ্তাহ আগেই এই অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর। শাহজাহানের গ্রেফতারির পর এলাকা আপাত শান্ত থাকলেও, আজ নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।