Madhyamik Exam: মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ, না দিলে পরীক্ষায় না বসতে দেওয়ার ‘হুমকি’, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা

Shuvendu Halder | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 10, 2024 | 6:33 PM

Madhyamik Exam: রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে বেশি টাকা যে নেওয়া হচ্ছে তা মানছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ নাইয়া। তাঁর দাবি, অনুষ্ঠানের জন্যই সব মিলিয়ে একটা অঙ্ক নেওয়া হচ্ছিল। তিনি বলছেন, অনুষ্ঠানের জন্য যে ৩০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে তা অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ঠিক হয়েছিল। তবে এ ক্ষেত্রে নাকি কাউকে কোনও জোর করা হয়নি।

Madhyamik Exam: মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ, না দিলে পরীক্ষায় না বসতে দেওয়ার ‘হুমকি’, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা
ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

মথুরাপুর: মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্কুলের প্ল্যাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠান বাবাদ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে স্কুল। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, টাকা দিতে না চাইলে রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়ুয়ারাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর আর্য বিদ্যাপীঠের এ ঘটনায় জোর শোরগোল শিক্ষা মহলের অন্দরেও। 

এদিকে সরকারি নিয়ম বলছে, মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১৮৫ টাকা করে নেওয়ার কথা। অনেক ক্ষেত্রে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। কিন্তু, অভিভাবকদের অভিযোগ, মথুরাপুর আর্য বিদ্যাপীঠে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। একইসঙ্গে প্ল্য়াটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানের জন্য নেওয়া হচ্ছে আরও ৩০০ টাকা। মোটি ৭০০ টাকা দিতে গিয়ে চাপে পড়ছেন অনেক অভিভাবকই। অভিযোগ, টাকা দিতে না পারলে অনেক পড়ুয়ার মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলকে অসুবিধার কথা জানিয়েও হচ্ছে না কোনও কাজ।

এক অভিভাবক শামিম মোল্লা বলছেন, “আমরা তো চাষবাস করে খাই। একসঙ্গে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমার ছেলে এদিকে ক্লাস টেনে পড়ে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৪০০ ও অনুষ্ঠানের জন্য ৩০০ টাকা চাইছে। মোট ৭০০ টাকা দেওয়ার কথা বলছে। আমার ছেলে আমার থেকে টাকা চায়। আমি বলি আমরা তো গরিব মানুষ কোথা থেকে এত টাকা পাব? কিন্তু ছেলেকে নাকি স্কুল থেকে বলেছে টাকা না দিলে পরীক্ষায় বসতে দেবে না।” 

রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে বেশি টাকা যে নেওয়া হচ্ছে তা মানছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ নাইয়া। তাঁর দাবি, অনুষ্ঠানের জন্যই সব মিলিয়ে একটা অঙ্ক নেওয়া হচ্ছিল। তিনি বলছেন, অনুষ্ঠানের জন্য যে ৩০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে তা অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ঠিক হয়েছিল। তবে এ ক্ষেত্রে নাকি কাউকে কোনও জোর করা হয়নি। কেউ দিতে না পারলে তা বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনা জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন এএসএফএইচএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তাঁর কথায়, এভাবে কোনও স্কুল অতিরিক্ত টাকা নিতে পারে না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের কথাও বলছেন তিনি। 

Next Article