বসিরহাট : সাত সকালে পথ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইঞ্জিন ভ্যান গিয়ে পড়ল নয়ানজুলিতে। দু্র্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আশঙ্কাজনক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৫ জনের। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার রাজনগরে। বসিরহাট – বনগাঁ রোডের রাজনগর এলাকায় সাত সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই ইঞ্জিন ভ্যানটিতে শিশু, মহিলা ও পুরুষ সহ প্রায় ২০ জন যাত্রী ছিলেন। হাড়োয়ার গোপালপুরে এক আত্মীয়ের সৎকার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।
ওই ইঞ্জিন ভ্য়ানের যাঁরা যাত্রী ছিলেন, তাঁদের বাড়ি বাদুড়িয়ার হায়দারপুর গ্রামে। রাস্তায় চলার সময় ইঞ্জিন ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে নয়নজুলিতে পড়ে যায়। এরপর যাত্রীদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। এরপর স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। দুর্ঘটনাস্থলেই ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু, মহিলা ও পুরুষ সহ মোট ১৫ জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এক যুবক ও শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। বাকি যাত্রীদের মাথায়, বুকে ও পিঠে গুরুতর চোট রয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌছায় মাটিয়া থানার পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত ওই বৃদ্ধের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ভ্যানটি দ্রুত গতি আসছিল। হঠাৎ করে ব্রেক করার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা।