SIR আবহেই বনগাঁর চাঁদপাড়ায় CAA ক্যাম্প, চড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা
SIR: বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, "আইন পাশ করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করছে। সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্য বাংলায় যে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন, তাঁদের তোষণ করা হচ্ছে। এই গোটা বিষয়টা সরলীকরণ করে মানুষকে বোঝানোর জন্য ক্যাম্প করছে। যাতে কাগজগুলো তৈরি করে আগামী CAA আবেদন করতে পারে।"

উত্তর ২৪ পরগনা: SIR আবহে বনগাঁর চাঁদপাড়ায় CAA সহায়তা ক্যাম্প। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের উদ্যোগে বাঙালি ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে এই ক্যাম্প করা হয়েছে। CAA- নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, আর সেটা কাটাতেই এই ক্যাম্প বলে দাবি বিধায়কের।
বাংলাদেশ থেকে আসা অনেকেই এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক। তিনি ঘোষণা করেছেন, চাঁদপাড়ায় স্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, “আইন পাশ করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করছে। সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্য বাংলায় যে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন, তাঁদের তোষণ করা হচ্ছে। এই গোটা বিষয়টা সরলীকরণ করে মানুষকে বোঝানোর জন্য ক্যাম্প করছে। যাতে কাগজগুলো তৈরি করে আগামী CAA আবেদন করতে পারে।”
শিবিরে যোগ দেওয়ার এক নাগরিক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “পুরো বিষয়টা পরিস্কারভাবে বোঝার জন্য ক্যাম্পে এসেছিলাম। আমরা যে ভয়ের মধ্যে রয়েছি, হিন্দু বাঙালিরা, আদৌ আমাদের এখানে ভোটাধিকার থাকবে কিনা, আমরা এখানে নাগরিকত্ব পাব কিনা, আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে কিনা, সেটাই ভাল করে বুঝতে এসেছি।”
এদিকে, বিজেপির CAA ক্যাম্পকে ভাঁওতাবাজি বলে পাল্টা আক্রমণ করছে তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “প্রতিবার নির্বাচনের সময়ে ওরা এই CAA জুজু খাঁড়া করে মানুষের কাছে। নির্বাচন চলে যাওয়ার পর আর কোনও কথা নেই। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে। বিজেপি অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে সর্বনাশ করার চেষ্টা করছে। বাংলায় NRC ওরা করতে পারবে না। ওদের নাটকে বাংলার মানুষের আর কোনও ভরসা নেই।”
এর আগেই বাগদায় CAA ক্যাম্প হয়েছে। ঠাকুরনগর, মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমার একাধিক এলাকায় ক্যাম্প করে নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলআপ করিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এমনিতেই SIR আবহে তপ্ত রয়েছে রাজনীতি। SIR আবহেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন, আসলে SIR এর নামে বাংলায় NRC চালু করতে চাইছে বিজেপি। গত সপ্তাহে ঝাড়গ্রামের সভা থেকেই সতর্ক করেছেন তিনি। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে CAA যে আবারও বড় ইস্যু হতে চলেছে, তা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

