বাগুইআটি: প্রায় দু’সপ্তাহের উপর কেটে গিয়েছে। খুনিদের ধরতে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডি। অবশেষে বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে সিআইডি-র জালে ধরা পড়েছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সেই পুলিশের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ নিয়ে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। এরপর রবিবার ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘খুন হওয়া যুবকরা ড্রাগের নেশা করত।’
রবিবার বরানগর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রকাশ্যে বাগুইআটি জোড়া খুন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘খুন হওয়া দু’জন যুবক ড্রাগসের নেশা করত, N-10 ট্যাবলেট খেত।’ প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি আরও বলেন, ‘একজন ছেলে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাইক কেনার জন্য কোথা থেকে পায়? আমি হলে পারতাম না। ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে। আমরা চাইছি সেই সমস্ত ছেলেদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আনতে। ছেলেরা এমন কিছু না করুক যাতে বাবা মাকে লজ্জিত হতে হয়।’
এর আগে এই খুন প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, ‘বাগুইআটিতে আমারই কেন্দ্রে একটি ১৫, একটি ১৬ বছরের ছেলে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়েছিল সেই খুনকে কেন্দ্র করে। ক্ষোভ অনেকটাই পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল।’
বাগুইআটি জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাম নেতারা। তবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বাগুইআটি থানার ওসিকে। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয় বাগুইআটি থানার তদন্তকারী অফিসারকেও।