সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা শুভেন্দুদের
Image Credit source: Tv9 Bangla
সন্দেশখালি: উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে সোমবার যেতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ আবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসেরও যাওয়ার কথা সেখানে। এর আগে শনিবার বিজেপি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছয় সেখানে। তবে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ঢুকতে পারেননি তাঁরা। খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রতিনিধি দলকে।
সর্বশেষ তথ্য উপরে
- বিজেপি-র লিগ্যাল সেলের সদস্য তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। সেই সময় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেখানো হয়। সেই চিঠিতে বসিরহাটের পুলিশ সুপার কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছেন যাতে বিজেপি বিধায়করা কলকাতা পুলিশের এলাকাতে এলেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এসডিও বসিরহাটের জারি করা ১৪৪ ধরার অর্ডারও দেখান। এরপর তরুণজ্যোতি প্রশ্ন তোলেন, এই অর্ডার সন্দেশখালী থানা এলাকায় কার্যকর। এখানে নয়। সন্দেশখালি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কীভাবে কার্যকর?
- অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “শাহজাহানকে ধরতে পারে না। আর আমাদের আটকাবে? সন্দেশখালিতে যখন মহিলাদের উপর অত্যাচার হত। তখন পুলিশ কোথায় ছিল?”
- বিরোধী দলনেতা যদিও আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা যে কোনও জায়গায় তাঁদের বাধা দেওয়া হতে পারে।
- বিধানসভা থেকে বের হয়ে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। বাসে করে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়েতে তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় পুলিশ।
- এ দিন শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁদের অনুরোধে রাজ্যপাল আজ সন্দেশখালি পরিদর্শনে যেতে পারেন। সেই কারণে রাজ্যপাল বোসকে তিনি ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন।
- শুভেন্দু বলেন, “আর যদি মাঝরাস্তায় আটকে দেয় তাহলে তো আমাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। তার জন্য গণতন্ত্র মেনেই প্রতিবাদ করব।”
- শুভেন্দু বলেন, “১৪৪ ধারা যে সকল জায়গায় রয়েছে সেখানে পাঁচজনের বেশি প্রতিনিধি দলকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না। আমরা অনেকেই যাব। সেক্ষেত্রে পুলিশ আটকাতেই পারে। তবে আমরা অনুরোধ করব চারজন মহিলা বিধায়ককে এলাকায় যেতে দেওয়ার।”
- সোমবার বিধানসভায় পৌঁছনোর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালি যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।