তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে ঘিরে গত রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরনগর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। তিনি ঠাকুরনগর থেকে বেরিয়ে আসার পরও মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির জেরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে। এর ফলে ঠাকুরবাড়ির পবিত্র মাটিকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, এদিন পুরো ঘটনা সবিস্তারে শুনেছেন। ঘটনার দিন মতুয়া সম্প্রদায়ের যে তিন জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলাও আছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবর নেন শুভেন্দু। মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ঘটনার দিনই তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
ওই দিন দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বিজেপি নেতা-কর্মী সহ বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছিল পুলিশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও ঘটনাস্থলে যান, পুলিশ তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়েছিল বলে অভিযোগ।