উত্তর ২৪ পরগনা: যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের পাশে দল দাঁড়াবে না। স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা চলছে, তাঁদের পক্ষে দল দাঁড়াবে না। তাঁদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোস করব না।”
সাংসদের আরও সংযোজন, “যদি দলের এক শতাংশ কিংবা দু’শতাংশ লোক দুর্নীতি করে থাকে, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখছি না। এটাই আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। আর এটাই আমরা সব জায়গায় বলছি। তার কারণ দু-একটা লোক অন্যায় করলে আমাদের ভালো কাজ মুছে ফেলা যাবে না।”
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদল এখন বিরোধীদের আক্রমণের শিকার। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এখন জেল হেফাজতে। শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলও তাই। দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী এখন দুর্নীতির দায়ে বিদ্ধ। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দুর্নীতি গ্রস্ত নেতাদের পাশে যে দল নেই, সেটা স্পষ্ট করে বোঝাতে চাইলেন সৌগত রায়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর কোনওভাবেই নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি শব্দ ব্যয় করতে শোনা যায়নি। যদিও ‘পরোপকারী’ কেষ্টর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমই ঘটেছে। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই নেত্রী প্রকাশ্যে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “কেষ্টর মতো সাহায্যকারী ছেলে খুব কম দেখেছি।” যদিও গরু পাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে যা যা তথ্য সিবিআই-এর হাতে উঠে এসেছে, তা রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতো। কেবল পার্থ-কেষ্ট নয়, অতি সম্প্রতি অবশ্য মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্কে যা যা তথ্য সামনে আনছেন তদন্তকারীরা, তাও ভিড়মি খাওয়ার মতোই। নেত্রী কেষ্টর পাশে দাঁড়ালেও দল যে এখন দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও নেতাদের পাশেই দাঁড়াচ্ছে না, তা স্পষ্ট করলেন সৌগত। উল্লেখ্য, এই সৌগত রায়ের বিরুদ্ধেও অবশ্য রয়েছে নারদ মামলা।