Basirhat: গৃহকর্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে পুরো বাড়ি সাফ দুষ্কৃতীদের, নিয়ে গেল বিধবাভাতার কার্ডও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 24, 2021 | 11:00 AM

North 24 pargana: ফাঁকা বাড়িতে নগদ ৩০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গহনা সব মিলিয়ে দুই লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।

Basirhat: গৃহকর্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে পুরো বাড়ি সাফ দুষ্কৃতীদের, নিয়ে গেল বিধবাভাতার কার্ডও
বাড়ি সাফ দুষ্কৃতীদের

Follow Us

বসিরহাট: বাড়িতে ছিলেন না কেউ। সেই সুযোগেই বিশাল অঙ্কের টাকা, ও গহনা চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

বসিরহাট মহকুমার (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার দুলদুলি পঞ্চায়েতের কেতারচক এলাকা । জানা গিয়েছে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে নগদ ৩০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গহনা সব মিলিয়ে দুই লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।

সূত্রের খবর, বর্তমানে ওই বাড়িতে থাকেন সুভাষীনি মণ্ডল (৭০)। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। সুভাষীনি দেবীর পুত্র ও পুত্রবধূ কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকে। বাড়িতে একাই থাকতেন পৌঢ়া। শনিবার,পাশের গ্রামে কোঠাবাড়িতে মেয়ের শ্বশুড়বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ঘরের দরজা-জানালা ও আলমারি ভেঙ্গে সবকিছু লুঠপাট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে প্রভাদেবী জানান,”আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে দেখি আমার সমস্ত গহনা, টাকাপয়সা লুঠপাট হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে বিধবাভাতার কার্ডও পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। “এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনাস্থানে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগেও হিঙ্গলগঞ্জে বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে, কয়েকদিন আগে মালদায় স্কুল শিক্ষককে চোর অপবাদ দিয়ে প্রথমে শুরু হয় গণপ্রহার। শুধু তাই নয়। তারপর তৃণমূল কাউন্সিলরের পোষা কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁর গায়ে। সেই কুকুরের কামড়ে ক্ষত বিক্ষত হন শিক্ষক! অভিযোগ তৃণমূলের কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরীর নির্দেশেই এই কাণ্ড হয়েছে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লী এলাকায়। গাজোলের বাসিন্দা আক্রান্ত ওই শিক্ষকের নাম সুদীপ টুডু। তিনি হবিবপুরের মানিকোড়া হাইস্কুলের ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষক।

সূত্রের খবর, মালদহের জেলা ক্রীড়াক্ষেত্রে খুবই পরিচিত নাম সুদীপ টুডু। তাঁর একটা পরিচয় তিনি পেশায় শিক্ষক। তাঁর এক আত্মীয় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখতে তিনি হাসপাতালে যান। তার পর নিজের গাড়ি চালিয়ে মালঞ্চপল্লীতে নিজের বাড়ি যান। অভিযোগ, ওই তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা তাঁকে সাইকেল চুরির অপবাদ দিয়ে ঘিরে ধরেন। প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান ওই শিক্ষক। এর পর তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি নিজের গাড়ির চাবি দেখিয়ে জানান, তাঁর সঙ্গে নিজের গাড়ি আছে। আর তিনি একজন শিক্ষক। খামোখা তিনি কেন সাইকেল চুরি করতে যাবেন? এই কথা শুনে কাউন্সিলরকে নাকি বলতে শোনা যায় সঙ্গীসাথীদের, ‘শিক্ষকরা কি চুরি করে না?’

এর পর শিক্ষককে চূড়ান্ত হেনস্থা, মারধর করার পর তাঁর গায়ে কাউন্সিলরের পোষা কুকুরকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। সেই কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় শিক্ষকের দেহ। দীর্ঘ রাস্তা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Lakhimpur Violence: জেলেই এসেছে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, ডেঙ্গু সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হল মন্ত্রীপুত্রকে

Next Article