বেলঘড়িয়া: কলকাতার দুর্গাপুজোকে এখন টেক্কা দিচ্ছে শহরতলি ও মফঃস্বলের পুজোগুলিও। সর্বত্রই এখন থিম পুজোর ধুম। কলকাতার পুজোর পাশাপাশি নজর কাড়ছে জেলার বিভিন্ন পুজোও। ভিড়ও হচ্ছে প্রচুর। সেরকমই একটি পুজো হল বেলঘড়িয়ার ১৭ পল্লির দুর্গাপুজো। থিম পুজোয় নিরিখে কলকাতায় যে কোনও বড় পুজোকে টেক্কা দিতে পারে এই পুজো মণ্ডপ। এখানে এবারের পুজোর থিম ‘রহস্যের মিশর’। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে দেবী প্রতিমা, সব জায়গা মিশরীয় ছোঁয়া। শিল্পীর ভাবনায় বেলঘড়িয়ার বুকে ঝুপ করে নেমে এসেছে এক টুকরো মিশর। বিশালকার একটা পিরামিড। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার এক ঝলক ফুটে উঠেছে বেলঘড়িয়ার ১৭ পল্লির দুর্গাপুজোয়।
রাতের আলোকসজ্জায় তা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। একটি বিশাল পিরামিডের আদলে তৈরি করা হয়েছে পুজো মণ্ডপ। পিরামিডের সামনে মণ্ডপ চত্বরের শোভা আরও বাড়িয়ে তুলেছে স্ফিংক্স। মিশরীয় উপকথায়, স্ফিংক্স হল অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেক সিংহরূপী। এরা হল কোনও প্রবেশদ্বারের পাহারাদার। বেলঘড়িয়ার ১৭ পল্লিতে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই স্ফিংক্সও। এমনকী মণ্ডপের ভিতরেও প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে মিশরীয় সভ্যতার ছোঁয়া। হায়রোগ্রিফিক লিপির আদতে সাজানো হয়েছে মণ্ডপের ভিতরের দেওয়ালগুলি। মণ্ডপসজ্জার সঙ্গে মানানসইভাবে সুন্দর আলো-আঁধারির খেলা তৈরি করা হয়েছে বেলঘড়িয়ার অন্যতম বড় এই দুর্গাপুজোয়। হঠাৎ করে মণ্ডপ চত্বরে ঢুকলে আপনার মনে হতেই পারে, যেন তুতেনখামেনের দেশে পৌঁছে গিয়েছেন আপনি।
বেলঘড়িয়ার ১৭ পল্লির এই পুজো দেখতে ভিড়ও হচ্ছে প্রচুর। কাতারে কাতারে দর্শনার্থীরা আসছেন পুজো মণ্ডপ দেখতে। রহস্যময় মিশরের এক ঝলক ক্য়ামেরাবন্দিও করে নিচ্ছেন তাঁরা।