Doctor’s Protest: ‘ওঁরা তো নিজেদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে লড়ছে না’, ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে অরন্ধনে সামিল তিলোত্তমার মা-বাবা
Panihati: তিলোত্তমার বাবা টিভি ৯ বাংলায় বললেন, "যেহেতু ছাত্ররা অরন্ধনের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের পাশে থেকেই এটা করছি।" অন্যদিকে তিলোত্তমার মা বললেন, "ওঁরা তো এত দিন না খেয়ে রয়েছে। তাহলে আমি মা হয়ে কেন পারব না।"
পানিহাটি: মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়ছেন ওঁরা। সঙ্গে চাইছেন নিজেদের নিরাপত্তাও। আর জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকেই প্রথম থেকে কুর্নিশ জানিয়ে এসেছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। আর এবার চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া নিয়ে অরন্ধন পালন করলেন তিলোত্তমার মা-বাবাও। হাঁড়ি চড়ল না তাঁদের বাড়িতে। ‘যতক্ষণ পারি না খেয়েই থাকব’ জানালেন তিলোত্তমার বাবা। সঙ্গে এও জানালেন, ‘সরকার কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। সুষ্ঠ সমাধানের কোনও ইচ্ছাই নেই।’ অরন্ধনের মধ্যে দিয়ে চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা তিলোত্তমার বাবা-মায়ের।
তিলোত্তমার বাবা টিভি ৯ বাংলায় বললেন, “যেহেতু ছাত্ররা অরন্ধনের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের পাশে থেকেই এটা করছি।” অন্যদিকে তিলোত্তমার মা বললেন, “ওঁরা তো এত দিন না খেয়ে রয়েছে। তাহলে আমি মা হয়ে কেন পারব না।” সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “উনি তো উৎসবে মেতেছেন। কী আর বলব। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। উনি তো কার্নিভাল করবেন। তারপর সবাই উৎসবে ফিরতে আগেই বলেছেন। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওঁকে বলব মানবিক হতে। আর ছেলেমেয়েগুলো তো নিজেদের বেতন বাড়াতে বলেনি। নাগরিকদের জন্যই চেয়েছে। বিষয়টা যত দ্রুত সম্ভব যাতে মিটিয়ে নেওয়া যায় দেখুক সরকার।”
এরপর কার্যত কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার মা। বলেন, “আমি চাই না যে ৯ তারিখ আমি দেখছি। আর কোনও বাবা-মা সেই ৯ তারিখ যাতে দেখে। জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য সিনিয়র ডাক্তাররা পেন ডাউন করেছেন। আরও আন্দোলন জোরদার করতে হবে। আমরা ওদের পাশে সব সময় আসি। তবে কারও শরীর খারাপ করে নয়। কারও শরীর খারাপ হলে অন্য জন বসে যেও। এই বার্তাই দিয়েছি।”