Panchayat Election 2023: ১৪৪ ধারার গাইডলাইনকে থোড়াই কেয়ার? তাসা বাজিয়ে, আবির মেখে মনোনয়ন জমা দিতে গেল তৃণমূল
Nomination of Panchayat: দলীয় পতাকা নিয়ে, আবির মেখে, তাসা বাজিয়ে দল বেঁধে মনোনয়ন জমা দিতে একেবারে বিডিও অফিসের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। একেবারে এক কিলোমিটারের ভিতরে। রাজারহাট বিডিও অফিস থেকে দূরত্ব খুব বেশি হলে একশো মিটার।
রাজারহাট: নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) গাইডলাইন রয়েছে, মনোনয়ন কেন্দ্রের এক কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা। সেই মতো রাজারহাট (Rajarhat) বিডিও অফিসের এক কিলোমিটার দূরে একটি গার্ডরেলও বসানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। আবার বিডিও অফিসের ঠিক কাছেও আরও একটি গার্ডরেল। কিন্তু সেসব নিয়মকে থোড়াই কেয়ার! নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মনোনয়ন উৎসব’ শাসক দলের। দলীয় পতাকা নিয়ে, আবির মেখে, তাসা বাজিয়ে দল বেঁধে মনোনয়ন জমা দিতে একেবারে বিডিও অফিসের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। একেবারে এক কিলোমিটারের ভিতরে। রাজারহাট বিডিও অফিস থেকে দূরত্ব খুব বেশি হলে একশো মিটার।
এই নিয়ে প্রশ্ন করায় তৃণমূল নেতারা অবশ্য বলছেন, তাঁরা নিয়ম মেনেই এসেছেন। কর্মী-সমর্থক, তাসা নিয়ে আসা প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজারহাটের ব্লক সভাপতি প্রবীর কর বললেন, ‘ওরা তো বাইরে আছে। প্রার্থীসহ দুজন ছাড়া তো অনুমতি দিচ্ছে না। তাই তাঁরা বাইরে আছে।’ কিন্তু যেখানে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এইভাবে মনোনয়ন দিতে আসা কি গাইডলাইন ভাঙা নয়? যদিও এই প্রশ্নে তৃণমূল নেতারা বলছেন, ‘এই পর্যন্তই তো ১৪৪ ধারা আছে।’
রাজারহাট নিউটাউন এলাকার বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও বলছেন, ‘এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিকল্প কে আছে! নিয়ম মেনেই আমাদের দলের লোকেরা মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে।’ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা কোথাও ভাঙা হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
এদিকে শাসক শিবিরের এভাবে মনোনয়ন দিতে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএম নেতা সপ্তর্ষি দেব বলছেন, ‘এই নির্দেশিকা তো শুধু বিরোধীদের জন্য। নির্দেশিকা তো শাসক দলের জন্য নয়। শাসক দল যাই করুক, তাতে কিছু যায় আসে না। যত নিয়ম তো আমাদের জন্য।’ বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি ভাস্কর রায়ও শাসক শিবির তৃণমূলের এই ধরনের কাজের কড়া সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস নেতা শেখ ববিও বলছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এসে দেখে যাক, কী চলছে।’