Bangaon TMC: মাধ্যমিক পাস মেয়ের শিক্ষিকার চাকরি! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ
West Bengal: উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী নেতা সুকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কুণ্ডু নামে শিমুলতলার এক বাসিন্দা ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বনগাঁ: প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের আদিবাসী নেতার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী নেতা সুকান্ত মাহাতো। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কুণ্ডু নামে শিমুলতলার এক বাসিন্দা ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, সুকান্ত মাহাতো বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তিনি প্রশান্তবাবুর মাধ্যমিক পাশ মেয়েকে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক ছ’লক্ষ টাকা নিয়েওছেন। কিন্তু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে সময়সীমা তিনি দিয়েছিলেন সেই সময় পার হলেও চাকরি পায়নি প্রশান্তবাবুর মেয়ে। ফলত, সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চান প্রশান্তবাবু। তবে, ওই তৃণমূল নেতা বিভিন্নভাবে ঘোরাচ্ছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন প্রশান্ত কুণ্ডুর ।
এই বিষয়ে প্রশান্ত কুণ্ডু বলেন, “সুকান্ত মাহাতো আমার মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি না পাওয়ায় টাকা চাইলে বিভিন্ন রকম ভাবে ঘোরাচ্ছে এবং হুমকি দিচ্ছেন। আমায় ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছে। একটা স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত দিয়েছে। কিন্তু টাকা চাওয়ার পরও আমায় টাকা দিচ্ছে না। টাকা চাইলে উল্টে হুমকি দিচ্ছে। যেহেতু উনি অনেক বড়-বড় লোকের সঙ্গে ঘোরে। পাড়ার অনেক লোকের থেকেও নিয়েছে। আমি মেয়ের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। শুধু বলে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। আজ চাকরি দেব, কাল চাকরি দেব। আমি আজ বনগাঁ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি যাতে উপযুক্ত শাস্তি পান তাঁর আবেদন করেছি।” অপরদিকে, সুকান্ত মাহাতোর নামে দায়ের হওয়া অভিযোগে প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “অভিযোগ হলে সেটা বিচারাধীন বিষয়। বিচারক বিচার করে সে অপরাধী কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে। বনগাঁ সংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, “শুধুমাত্র চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া নয়, চাকরির বদলি করে দেওয়ার নাম করেও টাকা নিয়েছে তৃণমূলের এই নেতা।” ঘটনার বিষয়ে সুকান্ত মাহাতোকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।