বনগাঁ: সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বনগাঁর দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর ছেলে শুভ আঢ্যকে। গ্রেফতার করা হয় অমিত ঘোষ নামে আরও একজনকে, যিনি সম্পর্কে শঙ্কর আঢ্যর শ্যালক। যদিও পরে জামিন পেয়ে যান তাঁরা, তবে এই পুরো ঘটনাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলেই উল্লেখ করলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর। ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে পেশ করা হলে, শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তাঁরা।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শঙ্কর আঢ্য জানান, তাঁদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে, সেই সংস্থায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিআরআই থেকে সমন পাঠানো হয়েছিল। কোম্পানির ডিরেক্টর অমিত ঘোষকে ডাকা হয়েছিল। সেই মতো তিনি সেখানে হাজিরাও দেন। এরপর তাঁর ছেলে শুভকেও ডাকা হয়েছিল, তিনিও হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। শঙ্করের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে কোনও কিছু উদ্ধার না হওয়ায় তাঁরা জামিন পেয়ে যায়। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘তদন্তের সার্থে তদন্তকারী সংস্থা যতবার ডাকবে, ততবারই শুভ আঢ্য যাবেন।’ ছেলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শঙ্করের দাবি, বিরোধীদলের কিছু লোক রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে এইসব করছেন।
বিরোধী দলের চক্রান্ত প্রসঙ্গে বনগাঁ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘ডিআরআই তাঁদের গ্রেফতার করেছিলেন, তদন্তের বিষয়ে ডিআরআই বলতে পারবে। সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক । চোরের মায়ের বড় গলা। সবাই জানে উনি কী ব্যবসা করে।’
শুভর মা জ্যোৎস্না আঢ্য বর্তমানে ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। শুভ ও অমিত সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর শিয়ালদহ স্টেশনে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে ২৬ টা সোনার বিস্কুট সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল ডিআরআই। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে এই দুজনের নাম উঠে আসে।