‘বৌদির হাতে কত রান্না খেয়েছি’, মুকুল-জায়ার স্মৃতিতে মেদুর সব্যসাচী, ‘শ্রদ্ধা’ জানালেন ববি

Mukul Roy's wife Funeral: এদিন দলীয় ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান প্রায় সকলেই। প্রত্যেকেই কমবেশি জানিয়ে দেন  তাঁরা এসেছেন একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে।

'বৌদির হাতে কত রান্না খেয়েছি', মুকুল-জায়ার স্মৃতিতে মেদুর সব্যসাচী, 'শ্রদ্ধা' জানালেন ববি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 5:21 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ‘বৌদি নেই’। মুকুল-জায়া চলে যাওয়ার পর কাচরাপাড়ার আনাচেকানাচে যেন এই সুরটাই ভেসে এসেছিল। ফুুসফুসে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণা রায়ের। বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণা রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে দেখা গেল ঘাস-পদ্মের সমাগম। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং প্রমুখ।

ফিরহাদ এদিন জানান, ‘কৃষ্ণা বৌদির’ সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল বরাবর। সেই টানেই এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তিনি। বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত বলেন, “একসময় বৌদির হাতে কত রান্না খেয়েছি। খুব ভাল রাঁধতেন বৌদি। হরেকরকম রান্নাও করতেন। কত লোক খেত। আজ শেষ দেখে  গেলাম।” তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “মুকুল-কৃষ্ণা-শুভ্রাংশু সকলের সঙ্গেই আমার বরাবর ভাল যোগাযোগ ছিল। আমার কিছু হলে সবার আগে মুকুলই তো খবর নিত। ও আমার ভাইয়ের মতো। আমি খুব খুশি মমতাদি ওকে আবার দলে ফিরিয়ে নিয়েছেন। মমতাদি আসলে নিজের ভাইকে  ফিরিয়ে নিয়েছেন। মুকুলের দলে থাকার অর্থ আসলে দলের শক্তি বৃদ্ধি।”

যদিও, এদিন দলীয় ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান প্রায় সকলেই। প্রত্যেকেই কমবেশি জানিয়ে দেন  তাঁরা এসেছেন একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে। সেখানে কোনও রাজনৈতিক বিতর্কের ‘আঁচ’ জড়াতে কার্যত নারাজ শাসক ও বিরোধী শিবির। তবে, এদিন শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের একবারের জন্যেও মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর। এদিন, ফিরহাদ প্রসূনরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই মুকুলের বাড়িতে আসেন সব্যসাচী। কিছু পরে আসেন সুনীল।

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণাদেবীর অসুস্থতার খবর পেয়েই মুকুল রায় ও পুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে তড়িঘড়ি দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৬জুলাই কৃষ্ণা দেবীর মৃত্যুর পরেও মুকুলের পাশে থাকার কথা জানান তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেন। ততদিনে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল। কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুর পর কার্যত গোটা তৃণমূলকেই পাশে পেয়েছেন মুকুল-শুভ্রাংশু। বৃহস্পতিবারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ফের স্পষ্ট হল সেই ছবি। আরও পড়ুন: ‘কালকের মধ্যে বলে দেব খুনি কে’, চ্যালেঞ্জ কেষ্টর