কামারহাটি: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই বিক্ষিপ্ত গোলমালের অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও ডিসিআর না পৌঁছানোয় মনোনয়ন জমা না করেই ফিরতে হল বিরোধীদের। আবার কোথাও মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস তিন বিরোধী শিবিরই গতকাল অভিযোগ তুলেছে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। আর এসবের মধ্যেই বিরোধীদের এবার পাল্টা দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে বললেন, ‘কেউ মনোনয়ন দিতে ভয় পাচ্ছে বলে, আমি রাত্রিবেলা সিকিউরিটি গার্ড হয়ে গিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দেব… এটা তো হতে পারে না। যিনি ভয় পাচ্ছেন, তিনি নন্দলাল হয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন। আর ভয় পাবে কেন? ওদের সঙ্গে তো সিআরপিএফ আছে। নিয়ে আসুক। কিন্তু মনে রাখবেন, সিআরপিএফের সংখ্যা হয়ত ৬ লাখ হতে পারে, কিন্তু জনগণের সংখ্যা ১২ কোটি।’
এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের মেনু নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্রকে। জবাবে বিধায়ক বললেন, ‘পঞ্চায়েতে খুব ভাল মেনু। তবে পঞ্চায়েতের মেনু তো ভোটের দিন নয়। মেনু তো ১০ তারিখ। আমাদের বুথে বুথে তো জল দেওয়া হবে। আমার যেসব জায়গায় দায়িত্ব পড়বে, একটু রুআবজ়া-বরফ দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে শরীরটা একটু ঠান্ডা থাকে। এতে ঠান্ডা মাথায় ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।’ মদন মিত্র এর আগে বলেছিলেন পঞ্চায়েতে শিক কাবাব খাওয়াবেন। সেই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় বিধায়ককে। শুনে মদন বললেন, ‘সেটা ৮ তারিখ নয়, ১০ তারিখ খাওয়াব। একদম নরম তুলতুল করছে শিক কাবাব। ভাল শিক কাবাব। এত খাটবে ছেলেরা, একটু শিক কাবাব খাবে না? কিন্তু ভোটের দিন খাওয়ালে তো ভোটে প্রভাব পড়বে। তাই দু’দিন পড়ে খাওয়াব। এতে এলাকার লোকরাও যোগ দেবেন। সকলকে নিয়ে আমরা বনভোজন করব।’
উল্লেখ্য, গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই বিরোধীরা একহাত নিয়েছে শাসক শিবিরকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের মস্তান বাহিনী পুলিশের মদতে বিডিও অফিস ঘিরে রাখছে।’ একই সুর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। বলছেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের প্রশ্রয়ে রিটার্নিং অফিসারের পাশে বসে আছে, ধাক্কাধাক্কি করছে। মনোনয়ন তুলতে যেতে বাধা দিচ্ছে।’ আবার পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘বহু জায়গায় বিডিও প্রস্তুত নন। কোনও টেবিল নেই, কোনও মনোনয়ন পত্র নেই। কোনও কাগজ দিতে পারছে না।’