‘সিবিআই এখন পোষা নেতা’, হিংসা তদন্তে নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 03, 2021 | 3:55 PM

Post Poll Violence: গত ২ মে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হন শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডল। তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী ছিল। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।

সিবিআই এখন পোষা নেতা, হিংসা তদন্তে নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
সিবিআই

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে (Post Poll Violence) সিবিআইয়োর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্য়াম। ভোট পরবর্তী হিংসায় শোভারানি মণ্ডলের মৃ্ত্যু মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মিথ্যাই তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক।

তৃণমূল বিধায়ক এদিন বলেন, “সিবিআই এখন আর তদন্তকারী দল নেই, নেতা হয়ে গিয়েছে। কোনও নিরপেক্ষতা নেই। শোভারানি মণ্ডল নামের ওই বৃ্দ্ধা আচমকা পড়ে গিয়ে মারা যান। তাঁকে কেউ খুন করেনি। পড়ে গিয়ে তাঁর মাথার পেছনে আঘাত লেগেছিল। কোনও তৃণমূল কর্মী এই ঘটনায় যুক্ত নয়। কিন্তু, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের দলীয় কর্মীদের ফাঁসাচ্ছেন।”

এখানেই না থেমে তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, “সিবিআই এখন পোষা নেতা। আমি নিজে দেখেছি, বিজেপি কর্মী মৃত্যু মামলায় বিজেপি বিধায়ক পবন সিং খোদ সিবিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে বিধায়কের সামনেই তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিরপেক্ষতা কোথায়!”

পাল্টা, জগদ্দলের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রণব মণ্ডল বলেন, “যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্য়েকের নামে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাও সবাইকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিছুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া দিয়েছে পুলিশ। সিবিআই তদন্ত হওয়ায় দোষীরা ধরা পড়তে বাধ্য।”

উল্লেখ্য, গত ২ মে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হন শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডল। তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী ছিল। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করে পুলিশ। জগদ্দল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, , বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রতন হালদার। গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নদিয়ার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।

ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় বাড়ল মামলার সংখ্যা। আরও ৩ টি এফআইআর রুজু করেছে সিবিআই। মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪। নতুন ৩টি মামলার মধ্যে ১টি নদিয়া জেলা ও ২টি উত্তর২৪ পরগনার। নদিয়ার চাপড়ায় খুনের মামলায় এদিকে ধৃত ৪ জনকে রাতভর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। গত শনিবারই, নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের মৃত্যু মামলায় সিবিআইয়ের জালে গ্রেফতার দুই। আটক হওয়া অসীমা ঘোষ ও বিজয় ঘোষকে চাপড়া থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় প্রথম তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন ৪ যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়। গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়। আরও পড়ুন: ফোন কানে, এক ব্যক্তিকে পরপর তিনবার কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় দিলেন নার্স!

 

 

 

 

Next Article