পানিহাটি: পানিহাটি পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন পেশায় শিক্ষক (Teacher) সোমনাথ সর্দার। নতুন বাড়িতে জমিয়ে থাকতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু, সে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অভিযোগ, কিছুদিন যেতে না যেতেই টাকা চেয়ে বাড়িতে আসতে থাকে হুমকি। অভিযোগ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের বিরুদ্ধে। তিনিই সোমনাথ বাবুর থেকে লাগাতার ৫ লক্ষ টাকা চাইতে থাকেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে লাগাতার তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিজের অফিসে সোমনাথবাবুকে ডেকেও পাঠান। সেখানে গেলে ফের তাঁকে আরও একবার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু, এত টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন সোমনাথ সর্দার। হয় কথা কাটাকাটি। অভিযোগ, তারপর থেকে তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দেওয়া হয় নানা হুমরি। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার পর থেকেই ঘর ছাড়া রয়েছেন সোমনাথবাবু। আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার। প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যেই তিনি খড়দহ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও তোলা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হিমাংশু দেব। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতর। সরব হয়েছে বিজেপি।
ঘটনায় শিক্ষক সোমনাথ সর্দার বলেন, “আমি বাড়িটা বছর দেড়েক আগে কিনি। তারপর থেকেই ওই কাউন্সিলর ওনাকে তাঁর বাড়িতে ডাকে। বারবার ফোন করে। মাস তিনেক আগে ওনার বাড়িতে গেলে বলেন ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নিজে এ কথা আমাকে বলে। আমার স্ত্রী তখন সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। টাকা দিতে না চাইলে আমার সম্পর্কেই অনেক অভিযোগের কথা বলেন। টাকার জন্য লাগাতার চাপ দিতে থাকেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে হিমাংশু দে বলেন, “ও আমার ওয়ার্ডে থাকে। ও তো নিজেই চিটিংবাজ। ওর শ্বশুরের কাছ থেকে ও নিজে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে। আরও কয়েকজন আত্মীয়র থেকে টাকা নিয়েছে। অনেকের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা নিয়েছে। সব অভিযোগ আমার কাছে আছে। আমি ঘটনার নিজেই তদন্ত করছি। ওর সম্পর্কে কিছু বলতে আমার রুচিতে বাধে।” পাল্টা কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “ভোটে জেতার জন্য তৃণমূল কেন মরিয়া তা এসব ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।”