অশোকনগর: একসময় গমগম করত পড়ুয়া সংখ্যা। এখন তলানিতে ঠেকেছে। না শুধু তলানি বললেও ভুল বলা হবে। স্কুলটিতে পড়ুয়া সংখ্যা মোটে একজন। আর শিক্ষক রয়েছেন দু’জন। তবে গত কয়েক বছর ধরে ধীরে-ধীরে কমেছে পড়ুয়া সংখ্যা। কেন এই অবস্থা সরকারি স্কুলের?
১৯৫২ সালে অশোকনগর নাগরিক শিক্ষা সংঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। যে সময় বিদ্যালয়টি চালু হয়েছিল তখন তা পড়ুয়ায় গমগম করত। এখন এই স্কুলে দু’জন শিক্ষক। আর খাতায় কলমে রয়েছন ছ’জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে বাকি পাঁচজন আসে না। আসে মাত্র একজন ছাত্র। সেই কারণে একজনের জন্য রান্না হয় মিড ডে মিল। দু’জন শিক্ষক ওই একজন পড়ুয়াকেই যত্ন সহকারে পড়ান।
গত কয়েক বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করায় এই স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে ওই শিক্ষক এবং শিক্ষিকা বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। তবে একদিকে ইংরেজি মাধ্যমের হাতছানি অন্যদিকে স্কুলটির কেউ শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় সুনাম ছিল না। দুঃস্থ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বলেন, “আপনাদের স্কুলের দু জন শিক্ষক। তাঁরা চার-পাঁচটা ক্লাস কী করে সামলাবে?”
বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের ভিতরে আবর্জনার স্তুপ পড়ে রয়েছেন। কয়কদিন আগে স্কুলের পিছনে গণধর্ষণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টা নতুন করে খতিয়ে দেখবেন, যাতে নতুন বছরে ছাত্র সংখ্যা বাড়ানো যায়।