বসিরহাট: একুশে জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীকে বেধড়ক মারধর। লোহার রড ও লাঠি দিয়ে চলল অকথ্য নির্যাতন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগের তির বিজেপি (BJP) ও সিপিআইএম (CPIM) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরুপোল এলাকা থেকে এদিন তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে সরুপোল বাজার এলাকায় আসতেই তৃণমূল কর্মী স্বপন মণ্ডল (৫০) ও হারান মণ্ডলকে (৫২) ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। চলে অকথ্য নির্যাতন।
তৃণমূলের অভিযোগ, যারা হামলা চালিয়েছে তারা সকলেই বিজেপি-সিপিএমের লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারাই স্বপন ও হারানকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বামেদের পাশাপাশি অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপিও।
ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুবর সাধারণ সম্পাদক অতনু সর্দার বলেন, “একুশে জুলাইয়ে গিয়েছিল ওরা। সেই অপরাধেই বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। খুনের চেষ্টাও করা হয়। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সিপিআইএমের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “গোটা রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। আজকের ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের লোকেরা কোনওভাবেই যুক্ত নয়। এটা তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।” একই সুর বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকারের গলায়। বলছেন, “বিজেপির কেউ জড়িত নেই। তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। পুরোটাই দলীয় কোন্দল।”