বসিরহাট: নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগর, উত্তর আন্দামান সাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত। আর তার জেরে গত এক সপ্তাহে কখনও বিক্ষিপ্ত, কখনও টানা বৃষ্টি। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা। নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বৃষ্টির জল জমেছে ফসলের গোড়ায়। জমতেই পচতে শুরু করেছে সবজি। তাই এবারও পুজোর মুখে সবজি অগ্নিমূল্য হওয়ার আশঙ্কা।
বসিরহাটের বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, বসিরহাট ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ-সহ ১০টি ব্লকে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ফসলের গোড়ায় জল দাঁড়িয়েছে। যার ফলে পচন শুরু হয়েছে। কাঁচা লঙ্কা, ওল, বাঁধাকপি, বরবটি, কাকরোল, গাজর, বাঁধাকপি, বিট এগুলির দর আকাশছোঁয়া হতে চলেছে বলেই মত চাষিদের।
গত তিন দিন আগে পেঁপের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকা, এখন ৩০ টাকা। কাঁচা লঙ্কা কেজি প্রতি ৫০ টাকা ছিল, সেটা হয়েছে ১০০ টাকা। উচ্ছে বেগুন, বিট, গাজর ,বরবটি যা এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফসলের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে গিয়ে পচন শুরু হয়েছে। এর ওপরে সূর্যের আলো উঠতেই ক্ষতির আশঙ্কা দ্বিগুণ হচ্ছে।
চাষিরাই বলছেন, উৎসবমুখর দিনগুলোতে অগ্নিমূল্য হতে চলেছে বাজার। উৎপাত বেড়েছে ফড়ে ও দালালদের। কৃষক সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “লঙ্কার ফলন কমেছে, তার উপর এই বর্ষার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লঙ্কা চাষ। পাশাপাশি বেগুন পচন ধরতে শুরু করেছে।” তিনি জানিয়েছেন, বসিরহাট মেরুদণ্ডী গ্রামের লঙ্কা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি হয়। তার ওপরেও কোপ পড়েছে।
পাশাপাশি সংগ্রামপুর-শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বেবি ঘোষ বলেন,” রাজ্য সরকার তথা প্রশাসন চাষিদের পাশে আছেন। কৃষকরা নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের প্রমাণ নিয়ে আবেদন জানালেই, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কৃষি বিমা যাঁদের রয়েছে তাঁরা এমনিতেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।”