দত্তপুকুর: দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে সোমবার গিয়েছিল রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ফরেন্সিক দল সেখান থেকে চলে যেতেই মূল বিস্ফোরণস্থল অর্থাৎ কেরামত শেখের বাড়ি যেন গ্রামবাসীদের আকর্ষণের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। পায়ে পায়ে প্রচুর মানুষ আসছেন। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন। পুলিশের নজরদারিও সেই অর্থে দেখা গেল না। নীলগঞ্জের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। আর এদিকে তারপরেও ‘প্লেস অব অকারেন্স’ বা মূল ঘটনাস্থলের এই হাল!
যদি রাজ্যের ফরেন্সিক টিমকে আবার ঘটনাস্থলে আসতে হয়, কিংবা যদি পরবর্তীতে কেন্দ্রের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা এখানে আসেন নমুনা সংগ্রহে, তাহলে আদৌ নমুনা মিলবে তো? সোমবার যেভাবে এলাকাবাসীদের আনাগোনা দেখা গেল মূল ঘটনাস্থলে, তাতে এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। যে পুলিশ এতক্ষণ ঘটনাস্থল পাহারা দিল, কেন ফরেন্সিক টিম চলে যেতেই পুলিশের নজরদারিতে এমন অভাব দেখা দিল? যদি গ্রামবাসীদের আনাগোনার ফলে প্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়, তার দায় কে নেবে? প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও নীলগঞ্জের এই বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার কথা উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্যাবিনেট বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতে এত পদক্ষেপ করা হয়েছে, তারপরেও কেন ঘটল এমন ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও বেআইনি বাজি কারখানা চলবে না। সোমবার মেয়ো রোডে বক্তব্য রাখার সময়েও মুখ্যমন্ত্রী সবুজ বাজি তৈরির উপর আরও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর দত্তপুকুর থানার আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।