Anganwadi Center: হাত দিলেই ভাঙছে দেওয়াল, খুলে যাচ্ছে জানালা-দরজা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেন মৃত্যু ফাঁদ

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 01, 2024 | 5:33 PM

Anganwadi Center: অভিভাবকদের পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মী। তিনি সাফ বলছেন, বারবার সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। ভাঙা জানালা-দরজার ছবি তুলেও পাঠিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Anganwadi Center: হাত দিলেই ভাঙছে দেওয়াল, খুলে যাচ্ছে জানালা-দরজা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেন মৃত্যু ফাঁদ
ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

হিঙ্গলগঞ্জ: মাত্র ছ’মাস আগে নতুন করে তৈরি হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটা। তারমধ্যেই বেহাল দশা। ভেঙে পড়ছে জানালা-দরজা। উঠে যাচ্ছে দেওয়ালের সিমেন্টের আস্তরণ। ছাদ থেকে পড়ছে জল। বেহাল দশা শৌচগারেরও। খাবার জলেরও ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেই। ভয়ে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না অভিভাবকেরা। ক্ষোভের বাতাবরণ হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬১ নম্বর বুথে। এখানেই রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অভিভাবকদের পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মী। তিনি সাফ বলছেন, বারবার সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। ভাঙা জানালা-দরজার ছবি তুলেও পাঠিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সুবর্ণা কর্মকার বলছেন, “খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। এক বছরও হয়নি অথচ গ্রিল ভেঙে গিয়েছে। প্রথম থেকে কোনও জানালা-দরজা লাগে না। প্রশাসনের কাছে অনেকবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। হাত দিলেই সব ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে। ছাদ দিয়ে জল পড়ছে। ভরসা করে মা-বাবারা কীভাবে বাচ্চাদের পাঠাবে বলুন? তাই ভয়ে খাবার নেওয়ার সময় শুধু অভিভাবকরা আসছে।” 

স্থানীয় বাসিন্দা মমতা পাত্র বলছেন, “স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। শৌচাগার পুরো ভেঙে গিয়েছে। দরজা ভেঙে গিয়েছে। ঘরের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। বালি ঝরেঝরে পড়ছে। এই অবস্থায় কী করে বাচ্চাদের পাঠাব?”  আর এক অভিভাবক অনিমা পাত্র বলছেন, “জলের ব্যবস্থা নেই, কুকুর ঢুকে যায়। গোটা বিল্ডিংটাই ভেঙে পড়ার উপক্রম। আমরা চাইছি স্কুলটা ভালভাবে নতুন করে তৈরি হোক। তাহলেই ভরসা করে বাচ্চাদের পাঠাতে পারব।”

Next Article