AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন? সব বলে দিলেন বাংলাদেশিরা

Bangladeshi Nationals: এদিনও হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় করেছেন বাংলাদেশিরা। বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে হাজির তাঁরা। কারও কোলে ছোট্ট সন্তানও রয়েছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় এদিন ভিড় কিছুটা কম। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত বাংলাদেশিরা এদিন মুখ খোলেন।

SIR in Bengal: কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন? সব বলে দিলেন বাংলাদেশিরা
কী বলছেন বাংলাদেশিরা?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2025 | 4:57 PM
Share

হাকিমপুর: বাংলাদেশিরা কীভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন? বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বেড়েছে। বিএসএফ-কে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টোদিকে, ঘাসফুল শিবিরকে তোপ দেগে চলেছে বিজেপি। এরই মধ্যে এসআইআর শুরু হওয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভিড় বেড়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। কীভাবে তাঁরা ভারতে ঢুকেছিলেন? প্রশ্নের মুখে মুখ খুললেন নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত বাংলাদেশিরা। কী বললেন তাঁরা?

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে মেনে নিয়ে মাকসুদা বিবি নামে এক বাংলাদেশি বলেন, ” তিন বছর এখানে ছিলাম। বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করতাম। দালালের মাধ্যমে ভারতে এসেছিলাম। আমরা চারজন ছিলাম। আমাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিয়েছিল। ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছিলাম।” ভারতের কোনও নথি রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ভারতের কোনও নথি নেই। লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতাম না।”

বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে মুরাদ গাজী নামে আর এক বাংলাদেশি বলেন, “হাওড়ায় থাকতাম। ময়লার কাজ করতাম। আমরা অনুপ্রবেশকারী। এসআইআর চালু হওয়ায় আমাদের রাখবে না। তাই চলে যাচ্ছি। আমরা দালালের মাধ্যমে আসিনি। নদী সাঁতরে আমাদের পরিবারের চারজন এসেছিলাম। পয়সা অনেক চেয়েছিল। দিতে পারিনি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরোই। খুলনা জেলায় আমাদের বাড়ি। ওখানে আয় ছিল না। পেটের টানেই এসেছিলাম। তাছাড়া আমার স্ত্রীও অসুস্থ। হাওড়া স্টেশনের পাশে খাস জায়গায় ঝুপড়ি করে থাকছিলাম।” ভারতের কোনও নথি নেই বলে তিনি জানান।

আসমা নামে আর একজন বলেন, “বরিশালে আমাদের বাড়ি। ২০২২ সালে এসেছি। চিকিৎসার জন্য এসেছি। এখানে আমাদের কোনও নথি নেই। দালাল ধরে এসেছিলাম। একজনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিল।”

এদিকে, এদিনও হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় করেছেন বাংলাদেশিরা। বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে হাজির তাঁরা। কারও কোলে ছোট্ট সন্তানও রয়েছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় এদিন ভিড় কিছুটা কম।