বারাসত: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গি এ রাজ্যে ঢুকছে বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই আশঙ্কার পরই সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম নিজে সশরীরে উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে। জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই এই জরুরি বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, বারাসতের মহকুমা শাসক সোমা সাউ, উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বড় অংশের সীমানা রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এপার বাংলা – ওপার বাংলায় যাতায়াত করেন। এদিকে বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক আকার নিতে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য বড় শহরের হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। এমন অবস্থায় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিচ্ছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গির প্রকোপের খবর আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষজনকে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোথাও জল জমে থাকছে কি না, বাড়িতে কারও জ্বর হয়েছে কি না, সেই সব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গি পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি।
এদিন জেলাশাসকের অফিসে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমডাঙা এলাকায় এলাইজ়া মেশিনের প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।