Model’s Mysterious Death: ‘অনুভবদা তুমি কি আসবে না? মুখের উপর না বলে দেয়’, বিদিশার মৃত্যুতে পুলিশি প্রশ্নের মুখে তাঁর পুরুষসঙ্গী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 27, 2022 | 7:27 PM

Model's Mysterious Death: বিদিশা দে মজুমদারের 'বয়ফ্রেন্ড' অনুভব বেরা পেশায় জিম ট্রেনার। বিদিশার বান্ধবীদের দাবি, এই অনুভবের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলত বিদিশার।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: মডেল বিদিশা দে মজুমদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল অনুভব বেরাকে। অনুভব বিদিশার সেই বন্ধু, যাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের তুলনায় অনেক বেশি কিছুই ছিল বলে প্রথম থেকে দাবি করছেন বিদিশার আত্মীয়রা। এদিন দমদম থানায় অনুভবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছিলেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায়। দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস, নাগেরবাজারের ওসি বিভাস রায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে তদন্তকারীরা অনুভবের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের দাবি, বিদিশা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাইতেন। কিন্তু একাধিক অডিশন দেওয়ার পরও সেভাবে কাজ পাননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অর্থের প্রয়োজনীয়তা ছিল, কিন্তু জোগানে নিশ্চয়তা ছিল না। সে কারণেই মানসিক হতাশা তাঁর মধ্যে দানা বাঁধতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

বিদিশা দে মজুমদারের ‘বয়ফ্রেন্ড’ অনুভব বেরা পেশায় জিম ট্রেনার। বিদিশার বান্ধবীদের দাবি, এই অনুভবের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলত বিদিশার। বিদিশার এক বান্ধবী রিয়া দাস বলেন, “আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে। অনেক কথার কল রেকর্ডিংও আছে। এই ঘটনার পর আমি ফোন করে বলেছিলাম, ‘অনুভবদা তুমি কি আসবে না?’। মুখের উপর না বলে দেয়।” যদিও অনুভব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। অনুভব বেরা বলেন, “এই যে আমি বিদিশার কেয়ার করতাম, মানসিক শক্তি জোগাতাম এটা ওর ভাল লাগত। আমাকে প্রপোজও করে। কিন্তু আমি না করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম বন্ধু হিসাবেই তোমার পাশে থাকতে চাই।”

একইসঙ্গে অনুভব দাবি করেছেন, “আমার সঙ্গে ওর যতদিনের পরিচয়, প্রথম থেকেই ও হতাশায় ভুগত। আগে ও দু’বার সুইসাইড করতে গিয়েছিল, ও নিজেই বলেছিল। মনে হয় হতাশার কারণেই তা করেছিল।” অনুভবের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ বিদিশার। সেখান থেকেই পরিচিতি। অনুভব তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, “এর আগে বহুবার অডিশন দিতে গিয়েছিল বিদিশা। কিন্তু সাফল্য আসেনি। আমি কিন্তু ওকে সবসময় মানসিক শক্তি জুগিয়েছি। ও আমাকে বহুবার বলেছে, ‘যেখানেই অডিশন দিচ্ছি, বাদ পড়ে যাচ্ছি। আমি এটা আর নিতে পারছি না’।”

যদিও অনুভবের কথা মানতে চাননি বিদিশার বান্ধবী। তাঁর দাবি, বিদিশা ছাড়া আরও কয়েকজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অনুভবের। এদিকে বিদিশার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও জড়ান অনুভব। সম্পর্কের এই অস্থিরতায় মনে মেঘ জমছিল তাঁর। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে যেমন গ্ল্যামারের ছটা আছে, একইভাবে রয়েছে ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার চাপ। এই চাপ মাঝেমধ্যে গুলিয়ে দেয় সম্পর্কের সমীকরণগুলোও। বিদিশার এই পরিণতি কী কারণে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উত্তর ২৪ পরগনা: মডেল বিদিশা দে মজুমদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল অনুভব বেরাকে। অনুভব বিদিশার সেই বন্ধু, যাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের তুলনায় অনেক বেশি কিছুই ছিল বলে প্রথম থেকে দাবি করছেন বিদিশার আত্মীয়রা। এদিন দমদম থানায় অনুভবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছিলেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায়। দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস, নাগেরবাজারের ওসি বিভাস রায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে তদন্তকারীরা অনুভবের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের দাবি, বিদিশা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাইতেন। কিন্তু একাধিক অডিশন দেওয়ার পরও সেভাবে কাজ পাননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অর্থের প্রয়োজনীয়তা ছিল, কিন্তু জোগানে নিশ্চয়তা ছিল না। সে কারণেই মানসিক হতাশা তাঁর মধ্যে দানা বাঁধতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

বিদিশা দে মজুমদারের ‘বয়ফ্রেন্ড’ অনুভব বেরা পেশায় জিম ট্রেনার। বিদিশার বান্ধবীদের দাবি, এই অনুভবের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলত বিদিশার। বিদিশার এক বান্ধবী রিয়া দাস বলেন, “আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে। অনেক কথার কল রেকর্ডিংও আছে। এই ঘটনার পর আমি ফোন করে বলেছিলাম, ‘অনুভবদা তুমি কি আসবে না?’। মুখের উপর না বলে দেয়।” যদিও অনুভব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। অনুভব বেরা বলেন, “এই যে আমি বিদিশার কেয়ার করতাম, মানসিক শক্তি জোগাতাম এটা ওর ভাল লাগত। আমাকে প্রপোজও করে। কিন্তু আমি না করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম বন্ধু হিসাবেই তোমার পাশে থাকতে চাই।”

একইসঙ্গে অনুভব দাবি করেছেন, “আমার সঙ্গে ওর যতদিনের পরিচয়, প্রথম থেকেই ও হতাশায় ভুগত। আগে ও দু’বার সুইসাইড করতে গিয়েছিল, ও নিজেই বলেছিল। মনে হয় হতাশার কারণেই তা করেছিল।” অনুভবের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ বিদিশার। সেখান থেকেই পরিচিতি। অনুভব তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, “এর আগে বহুবার অডিশন দিতে গিয়েছিল বিদিশা। কিন্তু সাফল্য আসেনি। আমি কিন্তু ওকে সবসময় মানসিক শক্তি জুগিয়েছি। ও আমাকে বহুবার বলেছে, ‘যেখানেই অডিশন দিচ্ছি, বাদ পড়ে যাচ্ছি। আমি এটা আর নিতে পারছি না’।”

যদিও অনুভবের কথা মানতে চাননি বিদিশার বান্ধবী। তাঁর দাবি, বিদিশা ছাড়া আরও কয়েকজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অনুভবের। এদিকে বিদিশার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও জড়ান অনুভব। সম্পর্কের এই অস্থিরতায় মনে মেঘ জমছিল তাঁর। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে যেমন গ্ল্যামারের ছটা আছে, একইভাবে রয়েছে ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার চাপ। এই চাপ মাঝেমধ্যে গুলিয়ে দেয় সম্পর্কের সমীকরণগুলোও। বিদিশার এই পরিণতি কী কারণে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Next Article