Body Found: অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘরে উঁকি মারতেই খাটের উপর চরম দৃশ্য, এমন কিছু হতে পারে আঁচও করতে পারেননি মা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 27, 2022 | 8:15 PM

Minakha: মঠবাড়ির মিনিজা খাতুনের সঙ্গে এক বছর আগে বসিরহাটেরই ন্যাজাট থানার শিরিষতলা এলাকার বাসিন্দা হবিবুল্লাহ তরফদারের বিয়ে হয়।

Body Found: অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘরে উঁকি মারতেই খাটের উপর চরম দৃশ্য, এমন কিছু হতে পারে আঁচও করতে পারেননি মা...
নিহতের মা অহিদা বিবি। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: স্ত্রীর বাবার জায়গা। সেই জায়গা বিক্রির জন্য বউকে চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী। এই নিয়ে বিবাদ। অভিযোগ, জমি বিক্রি করতে না দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেন ওই যুবক। বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার মঠবাড়ি এলাকার ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় মিনিজা খাতুন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই বধূকে। মিনিজার মায়ের দাবি, একজন নন, এই ঘটনায় জামাইয়ের সঙ্গে আরও দু’ একজন ছিলেন। মেয়েকে যখন তিনি উদ্ধার করেন, তখন সারা গায়ে কালশিটে, চোখ ঠিকরে আসছে, রক্ত বের হচ্ছে। মিনাখাঁ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। শুধুমাত্র জমি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মঠবাড়ির মিনিজা খাতুনের সঙ্গে এক বছর আগে বসিরহাটেরই ন্যাজাট থানার শিরিষতলা এলাকার বাসিন্দা হবিবুল্লাহ তরফদারের বিয়ে হয়। তবে মিনিজার বাপের বাড়ির পাশে প্রায় পাঁচ কাঠা জমিতে ঘর তৈরি করে হবিবুল্লাহ সেখানেই থাকেন। এই জমি মিনিজার নামে। মিনিজার মা জানান, বিয়ের আগে এই জমি মেয়ের নামে করার জন্য চাপ দেন হবিবুল্লাহ।

এদিকে বিয়ের পর কিছুদিন কাটতে না কাটতেই মিনিজাকে সেই জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলেন স্বামী। অভিযোগ, মিনিজা কিছুতেই বাপের বাড়ির এলাকা ছাড়তে চাননি। এই নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হত। বৃহস্পতিবারও এইন ঝামেলা হয়। তারপরই এই ঘটনা। হবিবুল্লাহই ফোনে মিনিজার ভাইকে জানান, দিদি অসুস্থ। খবর পেয়ে মিনিজার মা গিয়ে দেখেন ঘরের ভিতর অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে মেয়ে।

মিনিজার মা অহিদা বিবি বলেন, “জায়গাটা ওর নামে করে নিয়ে বিয়ে করেছে। এখন জামাই বলছে এখানে থাকবে না, বেঁচে চলে যাবে। মেয়ে তাতে রাজি ছিল না। ওর কথা, বাবার বাড়ির জায়গা আমি এখানেই থাকব। এই নিয়ে কদিন খুব অশান্তি হচ্ছিল। ওর আইকার্ড, আধারকার্ড, জমির কাগজ সব নিয়ে চলে যায়। খুব ঝগড়াও হয় ওদের। বৃহস্পতিবার রাতেও আমি গিয়েছি ওর বাড়িতে। মেয়ে বলল, বসতে। ভাল কথাবার্তা বলল। এরপর কী করল কে জানে? আমার মনে হয় বালিশ চাপা দিয়ে দিয়েছে। দু’টো চোখ, হাতে পায়ে রক্ত। একলা মারেনি। দু’ তিনজন মেরেছে।” যদিও এ নিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Next Article