Titagarh Bomb Blast: বোমায় জখম টিটাগড়ের স্কুলছাত্র, সেই স্কুলেরই ক্লাসরুমে সচেতনতার পাঠ শিক্ষিকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 08, 2022 | 8:59 PM

North 24 Parganas: টিটাগড় গান্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র আফরোজ। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে খেলতে গিয়েছিল বুধবার। টিটাগড় উড়নপাড়া কারবালা মাঠ এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সে।

Titagarh Bomb Blast: বোমায় জখম টিটাগড়ের স্কুলছাত্র, সেই স্কুলেরই ক্লাসরুমে সচেতনতার পাঠ শিক্ষিকার
প্রতীকী ছবি

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: বুধবার টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের। টিটাগড় গান্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র সে, নাম আফরোজ। এবার সেই স্কুলে পড়ুয়াদের সচেতনতার পাঠ দিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। যেখানে সেখানে পড়ে থাকা জিনিসে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে বল ভেবে হঠাৎ করে রাস্তা থেকে কিছু যেন তুলে না ফেলে তারা সে বিষয়েও সচেতন করেন। বঙ্গে বোমা-গুলি যেন খোলামকুচি। টিটাগড় পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কারবালা মাঠে বোমা বিস্ফোরণে বুধবারই গুরুতর জখম হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। তার হাতের আঘাত গুরুতর। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন বাচ্চা ছিল। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে প্রায় প্রায়ই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। জনবহুল এলাকা থেকে রেল লাইনের ধার, বিভিন্ন সময়ে বিস্ফোরক উদ্ধার কিংবা বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। কখনও কখনও রাস্তার ধারেও পড়ে থাকে বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক যে কোনও মুহূর্তে হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের তাই ক্লাসরুমে সতর্ক করলেন শিক্ষিকা। রাস্তায় পড়ে থাকা কোনও জিনিস দেখলেই যেন হাত না দেয় বাচ্চারা, সেই পাঠই পড়ালেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। গান্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নন্দিতা শর্মা।

টিটাগড় গান্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র আফরোজ। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে খেলতে গিয়েছিল বুধবার। টিটাগড় উড়নপাড়া কারবালা মাঠ এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সে। অভিযোগ, সেই সময় বিস্ফোরকটিকে পা পড়ে যায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। হাতে গুরুতর আঘাত লাগে তার। জখম অবস্থায় ব্যারাকপুর বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে বিএন বোস থেকে স্থানান্তরিত করা হয় আরজি কর হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার আফরোজ স্কুলে আসেনি। তবে বাকি ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে এসেছে। আর তাদের মা-বাবার চোখে উদ্বেগের ছাপ। এরপরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঠিক করেন বাচ্চাদের সতর্ক করতে হবে। ‘মোটিভেট’ করতে হবে অভিভাবকদেরও। নন্দিতা শর্মা বলেন, “আমি বারাসতে থাকি। রাতে আমাদের এক শিক্ষিকা ফোন করলেন। জানালেন আমাদের স্কুলের পাশে ছোট একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। জানতে চাইলাম সকলে কেমন আছে। এরপর আজ সাড়ে ১০টায় এসে দেখি সব বাচ্চাই উপস্থিত। পরে জানতে পারলাম আমাদের স্কুলের এক বাচ্চাও ওই চার পাঁচজনের মধ্য় ছিল। শুনলাম বাচ্চাটার হাতটা জখম হয়েছে। ওদের বলেছি যেন কোনওভাবেই ওরা স্কুলের সময় বাইরে না যায়। টিফিন থেকে শুরু করে সবটাই স্কুলে করবে। একইসঙ্গে বোঝালাম বাইরে কিছু দেখলে হঠাৎ করে হাত দিয়ে দেবে না। কিছু দেখলেই যেন মা-বাবাকে ডাকে। শুক্রবার বাবা, মাকে ডাকব। ওনাদেরও বলব ১১টায় স্কুলে দিয়ে যান, ৪টেয় স্কুল থেকে নিয়ে যান।”

Next Article